Type Here to Get Search Results !

প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে করা সব মামলা খারিজ

ঢাকা ব্যুরো অফিসঃ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে মিথ্যাচার করে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করায় বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে করা দুটি মামলার আবেদনই খারিজ হয়ে গেছে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলায় করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাগুলো খারিজ করেছেন অাদালত। রোববার বিকালে ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান নোমানের আদালত ঢাকা বারের কার্যনির্বাহী সদস্য ইব্রাহীম খলিলের দণ্ডবিধি ১২৪ (ক) ধারায় করা মামলার আবেদন খারিজ করে দেন। ইব্রাহীম খলিল পেনাল কোডের ১২৪ (এ) ধারা অনুযায়ী প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছিলেন। আদালত প্রথম বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আদেশ পরে দেবেন বলে জানান। বিকেলের দিকে এ মামলাটিও খারিজ করে দেন আদালত। এর আগে একই অভিযোগে করা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের মামলাটি খারিজ করে দেন আদালত। রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম জিয়াউর রহমানের আদালতে প্রথমে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলার আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। পেনাল কোডের ১২৩ (এ), ১২৪ (এ) ও ৫০০ ধারায় মামলাটি আমলে নেয়ার জন্য ব্যারিস্টার সুমন আদালতে আবেদন করেন। আদালত সকালে বাদীর জবানবন্দি গ্রহণের পর তা আদেশের জন্য রাখেন। দুপুরে তা খারিজ করে দেন। প্রসঙ্গত গত ১৬ জুলাই ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার ২৭ ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে ১৬ দেশের প্রতিনিধি অংশ নেন। বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহাও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান। বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতা প্রিয়া সাহা মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বলেন, আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। বাংলাদেশে তিন কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান নিখোঁজ রয়েছেন। দয়া করে আমাদের লোকজনকে সহায়তা করুন। আমরা আমাদের দেশে থাকতে চাই। এর পর তিনি বলেন, এখন সেখানে এক কোটি ৮০ লাখ সংখ্যালঘু রয়েছে। আমরা আমাদের বাড়িঘর খুইয়েছি। তারা আমাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে, তারা আমাদের ভূমি দখল করে নিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো বিচার পাইনি। ভিডিওতে দেখা গেছে, একপর্যায়ে ট্রাম্প নিজেই সহানুভূতিশীল হয়ে ওই নারীর সঙ্গে হাত মেলান। কারা এমন নিপীড়ন চালাচ্ছে? ট্রাম্পের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রিয়া সাহা বলেন, ‘দেশটির মৌলবাদীরা এসব করছে। তারা সবসময় রাজনৈতিক আশ্রয় পাচ্ছে।’ প্রিয়া সাহার দেয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে বর্তমান সরকারের আমলে বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতির বহু উদাহরণ সোশ্যাল মিডিয়া তুলে ধরছেন নেটিজেনরা। বাংলাদেশ যেখানে ধর্মীয় সম্প্রতির মডেল হিসেবে সমাদৃত হচ্ছে সেখানে বিদেশ গিয়ে প্রিয়া সাহার এমন নালিশ দেশের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ণ করছে বলেও মনে করেন তারা।

২২শে জুলাই ২০১৯

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.