বিশেষ প্রতিবেদন,সাউথ কোরিয়াঃ
স্বামী বিবেকানন্দ ছোটবেলা থেকেই একজন কিংবদন্তি ছিলেন। ওনার অসাধারণ স্মৃতিশক্তি ছিল। উনি অনেক ভেতরের কথাও বলে দিতে পারতেন। একবার জার্মান দার্শনিক ডক্টর পল ডিউসেন স্বামীজিকে তাঁর বাড়িতে রাতের খাবার খেতে নিমন্ত্রণ করেন। খাবার শেষে দুজনে মিলে জীবন, দর্শন যোগ, আধ্যাত্মিকতা,এসব আলোচনা করছিলেন। ডাক্তারবাবু হিন্দু ধর্মের একজন বড়ো প্রশংসক ছিলেন এবং ভারতীয় লিপি, সংস্কৃতি এসব বিষয়েও তাঁর অগাধ পাণ্ডিত্য ছিলো।
স্বামী বিবেকানন্দ ছোটবেলা থেকেই একজন কিংবদন্তি ছিলেন। ওনার অসাধারণ স্মৃতিশক্তি ছিল। উনি অনেক ভেতরের কথাও বলে দিতে পারতেন। একবার জার্মান দার্শনিক ডক্টর পল ডিউসেন স্বামীজিকে তাঁর বাড়িতে রাতের খাবার খেতে নিমন্ত্রণ করেন। খাবার শেষে দুজনে মিলে জীবন, দর্শন যোগ, আধ্যাত্মিকতা,এসব আলোচনা করছিলেন। ডাক্তারবাবু হিন্দু ধর্মের একজন বড়ো প্রশংসক ছিলেন এবং ভারতীয় লিপি, সংস্কৃতি এসব বিষয়েও তাঁর অগাধ পাণ্ডিত্য ছিলো।
কথা প্রসঙ্গে ডাক্তার বাবু ওনার টেবিল এর উপর রাখা একটা বই সম্পর্কে ভুয়সি প্রশংসা করছিলেন। তখন স্বামীজি ওনাকে ওই বইটা এক ঘণ্টার জন্য ওনাকে দিতে বললেন। ডাক্তার বাবু বললেন মাত্র এক ঘন্টা, আপনি কি ব্যঙ্গ করছেন নাকি? আমি গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বইটা পড়েও কিছুই করতে পারলাম না আর আপনি এক ঘন্টার মধ্যে কি করে পারবেন। তাছাড়া এই বইটা তো জার্মান ভাষায় লেখা। ওই ভাষার তো আপনি কিছু জানেন না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত উনি বইটা স্বামীজি কে দিলেন। উনি বইটা দুই হাতের মাঝে নিয়ে ধ্যান মগ্ন হলেন। এক ঘন্টা পর উনি ওই বইটা ফিরিয়ে দিয়ে বললেন এই বইতে তাৎপর্যপূর্ণ কিছুই নেই। ডাক্তারবাবু বিরক্ত হয়ে বললেন, এই বইটি একটুও না পড়ে আপনি এই মন্তব্য কি করে করলেন? স্বামীজি শান্ত স্বরে বললেন, এই বই থেকে আপনি আমাকে যে কোন প্রশ্ন করুন। ডাক্তার বাবু বইটার বিভিন্ন জায়গা থেকে অনেক প্রশ্ন করলেন এবং অবাক হয়ে দেখলেন এই ভারতীয় সন্ন্যাসী সবগুলো প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিলেন। কি করে পারলেন, এই প্রশ্নের উত্তরে উনি বললেন এটাই হলো ভারতীয় যোগ ও ধ্যান এর শক্তি।
ইদানিং কালে রিসার্চ গ্রুপ অফ MIT এমন একটা জিনিষ আবিষ্কার করেছে যার মাধ্যমে বন্ধ বই এর ভিতরটা পড়ে নেওয়া যায়।Terahartz Pulse উৎপন্ন করতে পারে এমন scanner এর মাধ্যমে এই কাজটা করা হয়েছে। কিন্তু এই বোঝা পড়া কি করে হয়, সেই ভাষাটা এখনো বের করা যায় নি। অথচ স্বামীজি কতো বছর আগে ঠিক এই কাজটাই করে গেছেন।
সত্যিকারের অর্থে স্বামীজি নিজেই একটা encyclopedia যার মধ্যে অনেক না জানা রহস্য রয়ে গেছে যা আজও আবিষ্কার করা যায়নি আর...... বোধহয় যাবে ও না।
( Swami Vivekananda was a child prodigy. He was known for his exceptional memory and aero-reading abilities. Once a German philosopher Dr. Paul Deussen’s invited Swami Vivekananda in his place and after the dinner, both of them were discussing life, philosophy, yoga, spirituality and so on. As Dr. Deussen was a great admirer of Hinduism and fond of Indian scripts and culture. During the conversation Dr. Paul Deussen was speaking very high for the book that was kept on his study table. So, Swami ji asked Dr. Deussen to give him the book for an hour. The German philosopher laugh and said one hour, are you mocking swami? I am reading this book for weeks still not get anything so, how could you? And moreover, this book is in German language and you don’t even know the language. Finally, Dr. Deussen was convinced and had given the book to Swami Vivekananda. Swami ji had kept the book between his two hands and sat for meditation, and after one-hour Swami ji returned the book to the German philosopher and said this book has nothing significant in it. Dr. Paul out of annoyance said Swamji how could you comment on the book without opening it for once, Swami ji replied gently, ask me anything from the book. Dr. Deussan meticulously asked almost all from the book and he was socked, how could the Indian monk have answered everything accurately. Swami ji replied it the power of yoga and meditation. Recently, the research groups of MITs have designed a prototype of an imaging system which can read closed books. This experiment is done by the scanner that generates terahertz pulses but the catch is, till now nothing much is innovated which can also interpret the language of understanding. Swami ji has done it successfully long back. True sense swami ji, itself is an encyclopedia which has many unsolved mysteries to explore and cognize.)
( Swami Vivekananda was a child prodigy. He was known for his exceptional memory and aero-reading abilities. Once a German philosopher Dr. Paul Deussen’s invited Swami Vivekananda in his place and after the dinner, both of them were discussing life, philosophy, yoga, spirituality and so on. As Dr. Deussen was a great admirer of Hinduism and fond of Indian scripts and culture. During the conversation Dr. Paul Deussen was speaking very high for the book that was kept on his study table. So, Swami ji asked Dr. Deussen to give him the book for an hour. The German philosopher laugh and said one hour, are you mocking swami? I am reading this book for weeks still not get anything so, how could you? And moreover, this book is in German language and you don’t even know the language. Finally, Dr. Deussen was convinced and had given the book to Swami Vivekananda. Swami ji had kept the book between his two hands and sat for meditation, and after one-hour Swami ji returned the book to the German philosopher and said this book has nothing significant in it. Dr. Paul out of annoyance said Swamji how could you comment on the book without opening it for once, Swami ji replied gently, ask me anything from the book. Dr. Deussan meticulously asked almost all from the book and he was socked, how could the Indian monk have answered everything accurately. Swami ji replied it the power of yoga and meditation. Recently, the research groups of MITs have designed a prototype of an imaging system which can read closed books. This experiment is done by the scanner that generates terahertz pulses but the catch is, till now nothing much is innovated which can also interpret the language of understanding. Swami ji has done it successfully long back. True sense swami ji, itself is an encyclopedia which has many unsolved mysteries to explore and cognize.)
ডঃ শুভ চক্রবর্তী,গবেষক
সাউথ কোরিয়া
বঙ্গানুবাদঃ প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী,ত্রিপুরা
বঙ্গানুবাদঃ প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী,ত্রিপুরা
ছবিঋণঃ সৌজন্যে ইন্টারনেট
২২শে জুলাই ২০১৯