নিজস্ব প্রতিনিধি,আগরতলাঃ
রথযাত্রা উৎসবের আনন্দে ভাসলো আগরতলা। অগণিত পুণ্যার্থীরা ভগবান দর্শনের উদ্দেশ্যে মাঠে নামেন। প্রভু জগন্নাথ,বলভদ্র ও সুভদ্রা গেলেন মাসীর বাড়ি অর্থাৎ গুন্ডিচা মন্দিরে।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল থেকেই আগরতলায় জগন্নাথ জিউ মন্দিরে পুণ্যার্থীদের আগমন শুরু হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভক্তবৃন্দের সমাগমও বাড়তে থাকে।
মধ্যাহ্ন শয়নের পর জগন্নাথ,বলভদ্র ও সুভদ্রার বিগ্রহ তোলা হয় রথে। রথের সামনে অনেকটা সময় জগন্নাথ মন্দিরের মঠাধ্যক্ষ ভক্তিকমল বৈষ্ণব অন্যান্য সাধু সন্তদের নিয়ে নামকীর্তন করেন। তারপর বিকেল প্রায় ৫টা নাগাদ রথের দড়িতে টান পড়ে। অগণিত পুণ্যার্থীরা রথযাত্রা উৎসবে সামিল হন। ধীরে ধীরে জগন্নাথ দেবের রথ এগিয়ে যায়। শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে সন্ধ্যায় পুনরায় জগন্নাথ মন্দিরে ফিরে আসে রথ। মন্দিরেরই অন্য একটি কক্ষে বিগ্রহ রাখা হয়। উল্টো রথ পর্যন্ত প্রভু জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রা সেখানেই থাকবেন।
এদিকে মঠচৌমুহনী সংলগ্ন ইসকন মন্দিরের রথযাত্রা ঘিরেও ব্যাপক সাড়া পরিলক্ষিত হয়।
বেলা প্রায় সাড়ে তিনটা নাগাদ মন্দিরে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। তিনি রথযাত্রা উৎসবের সূচনা করেন। তিনটি পৃথক পৃথক রথে উপবিষ্ট হন প্রভু জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রা। অত্যন্ত সুশৃঙ্খল ভাবে এগিয়ে যায় ভগবানের রথ।অগনিত ভক্ত সমাগম হলেও কোনরকম বিশৃঙ্খলা লক্ষ্য করা যায়নি। ভক্তরা তাদের মনোবাসনা কামনায় রথের দড়ি টানেন। কেউ রথ স্পর্শ করে শ্রদ্ধাভক্তি নিবেদন করেন। যেটা অনেক পুণ্যার্থীদের জন্যই জগন্নাথ বাড়ির রথের ক্ষেত্রে সম্ভব হয়নি। প্রভু জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রা একই রথে উপবিষ্ট হওয়ায় ভীড়ের চাপ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানদের অতি তৎপরতায় অধিকাংশ পুণ্যার্থীকে দূর থেকে রথ দর্শন করে তৃপ্ত থাকতে হয়েছে।এদিকে সন্ধ্যার পর ইসকন মন্দিরের তিনটি রথ ওরিয়েন্ট চৌমুহনী সংলগ্ন গুরুজি কনফারেন্স হলের সামনে আসে। বিগ্রহ নিয়ে রাখা হয় সেখানে অস্থায়ীভাবে নির্মিত গুরুজি কনফারেন্স হলে। আগামী ১২ জুলাই উল্টো রথ পর্যন্ত এখানে চলবে নানারকম ধর্মীয় অনুষ্ঠান।
এছাড়াও রাজধানী আগরতলায় বেশ কিছু রথ বের হতে দেখা যায়। রাজবাড়ি থেকে বরাবরের মতো এবছরও পরম্পরা মেনে রথযাত্রার আয়োজন করা হয়। লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দির, শিববাড়ি সহ বেশকিছু মন্দির এবং অনেক বনেদি বাড়ি থেকেও প্রভু জগন্নাথের রথ বের হতে দেখা যায়।
মেলাঘর থেকেও বের হয় প্রভু জগন্নাথের রথ।ছিলেন মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় সহ অন্যান্যরা। রথযাত্রা উৎসব ঘিরে পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থাও বাড়ানো হয়। কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর নেই।
ছবিঃ সুমিত সিংহ রায়
৪ঠা জুলাই ২০১৯
রথযাত্রা উৎসবের আনন্দে ভাসলো আগরতলা। অগণিত পুণ্যার্থীরা ভগবান দর্শনের উদ্দেশ্যে মাঠে নামেন। প্রভু জগন্নাথ,বলভদ্র ও সুভদ্রা গেলেন মাসীর বাড়ি অর্থাৎ গুন্ডিচা মন্দিরে।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল থেকেই আগরতলায় জগন্নাথ জিউ মন্দিরে পুণ্যার্থীদের আগমন শুরু হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভক্তবৃন্দের সমাগমও বাড়তে থাকে।
মধ্যাহ্ন শয়নের পর জগন্নাথ,বলভদ্র ও সুভদ্রার বিগ্রহ তোলা হয় রথে। রথের সামনে অনেকটা সময় জগন্নাথ মন্দিরের মঠাধ্যক্ষ ভক্তিকমল বৈষ্ণব অন্যান্য সাধু সন্তদের নিয়ে নামকীর্তন করেন। তারপর বিকেল প্রায় ৫টা নাগাদ রথের দড়িতে টান পড়ে। অগণিত পুণ্যার্থীরা রথযাত্রা উৎসবে সামিল হন। ধীরে ধীরে জগন্নাথ দেবের রথ এগিয়ে যায়। শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে সন্ধ্যায় পুনরায় জগন্নাথ মন্দিরে ফিরে আসে রথ। মন্দিরেরই অন্য একটি কক্ষে বিগ্রহ রাখা হয়। উল্টো রথ পর্যন্ত প্রভু জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রা সেখানেই থাকবেন।
এদিকে মঠচৌমুহনী সংলগ্ন ইসকন মন্দিরের রথযাত্রা ঘিরেও ব্যাপক সাড়া পরিলক্ষিত হয়।
এছাড়াও রাজধানী আগরতলায় বেশ কিছু রথ বের হতে দেখা যায়। রাজবাড়ি থেকে বরাবরের মতো এবছরও পরম্পরা মেনে রথযাত্রার আয়োজন করা হয়। লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দির, শিববাড়ি সহ বেশকিছু মন্দির এবং অনেক বনেদি বাড়ি থেকেও প্রভু জগন্নাথের রথ বের হতে দেখা যায়।
মেলাঘর থেকেও বের হয় প্রভু জগন্নাথের রথ।ছিলেন মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় সহ অন্যান্যরা। রথযাত্রা উৎসব ঘিরে পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থাও বাড়ানো হয়। কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর নেই।
ছবিঃ সুমিত সিংহ রায়
৪ঠা জুলাই ২০১৯