আবু আলী, ঢাকা ॥
বাংলাদেশের পাহাড়ি জেলা খাগড়াছড়িতে সেনাবাহিনীর টহল দলের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিন সন্ত্রাসীর মুত্যু হয়েছে। জানা গেছে, তারা সবাই ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সদস্য। দেশটির আন্তঃবাহিনীর (আইএসপিআর) পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবদুল্লাহ ইবনে জায়েদ দ্য গণমাধ্যমকে জানান, ২৫ আগস্ট সোমবার দুপুরে জেলার দীঘিনালা উপজেলায় এ বন্দুকযুদ্ধ হয়।
তিনি আরও জানান, বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থল থেকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সোমবার সকালে সেনাবাহিনীর টহল দল নিয়মিত অভিযানে গেলে একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এ সময় সেনাবাহিনীর সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই ৩ জন নিহত হয়।
এ বিষয়ে খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো: আহমার উজ্জামান বলেন: “বন্দুকযুদ্ধে দীঘিনালার দুর্গম গ্রামে ৩ জন নিহত হওয়ার খবর শুনেছি।
জানা গেছে, ঘটনার আগে সকালে দীঘিনালা উপজেলার দুর্গম বরাদাম এলাকায় এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন ভুজেন্দ্র চাকমা (৪৫), রুচিল চাকমা (২৫) ও নবীন জ্যোতি চাকমা (৩২)। নিহতরা ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ- প্রসীতপন্থী) স্বশস্ত্র গ্রুপের সদস্য বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীঘিনালার বরাদাম এলাকায় ৭-৮ জন সন্ত্রাসীর উপস্থিতির খবর পেয়ে সোমবার সকালে সেনাবাহিনীর একটি টহল দল অভিযানে যায়। এ সময় সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীরা সেনা টহল দলকে লক্ষ্য করে অতর্কিত গুলি চালায়। সেনাবাহিনীও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই তিন সন্ত্রাসী নিহত হন। ১০-১৫ মিনিট গুলিবিনিময়ের পর সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যান। এরপর সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে তিন সন্ত্রাসীর মরদেহ, দুটি পিস্তল ও ৮ রাউন্ড অ্যামুনিশন উদ্ধার করে। দীঘিনালা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম চন্দ্র দেব জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতদের মরদেহ থানায় আনা হয়েছে। ইউপিডিএফের খাগড়াছড়ি জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা বলেন, নিহত তিনজনই ইউপিডিএফের কর্মী।
২৬শে আগস্ট ২০১৯
২৬শে আগস্ট ২০১৯