আবু আলী, ঢাকা ॥
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, সরকার রোহিঙ্গা শিবিরে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের দায়িত্ব সেনাবাহিনীকে দিয়েছে। ইতোমধ্যে সেখানে বেড়া নির্মাণের প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে টেকনাফের নয়াপাড়া ও উখিয়ার কুতুপালং শিবিরে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ হবে। ২৪ নভেম্বর কক্সবাজারের রামু সেনানিবাসে অনুষ্ঠিত রেজিমেন্টাল কালার প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে রামু সেনানিবাসের ৬, ৯, ২৭ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি ৬ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাটালিয়ন এবং ১৩ ও ১৪ বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টকে রেজিমেন্টাল কালার প্রদান করেন সেনাপ্রধান। এসময় সেনাপ্রধানের সম্মানে সুশৃংখল কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে জেনারেল আজিজ আহমেদ আরও বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই প্রশংসনীয় কার্যক্রম প্রদর্শনের মাধ্যমে এসব রেজিমেন্ট রেজিমেন্টাল কালার পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে। রেজিমেন্টাল কালারপ্রাপ্তি যেকোনো ইউনিটের জন্য একটি বিরল সম্মান ও পবিত্র আমানত।
তিনি বলেন, আশা করছি কর্মদক্ষতা, কঠোর পরিশ্রম ও কর্মনিষ্ঠার স্বীকৃতিস্বরূপপ্রাপ্ত রেজিমেন্ট কালারের মর্যাদা এবং সেনানিবাসের প্রতি জাতির আস্থা অটুট রাখার জন্য যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে ইউনিটগুলোহ সদা সচেষ্ট থাকবে। সেনাপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের স্বার্ভভৌমত্ব রক্ষা, প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলাসহ দেশের আর্থসামাজিক এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। ভবিষ্যতেও মাতৃভূমির অখন্ডতা রক্ষা ও জাতীয় যেকোনো প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের জন্য সদা প্রস্তুত থাকতে হবে এবং সবাইকে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এগিয়ে আসতে হবে।
অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো. মাঈন উল্লাহ চৌধুরী, তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির স্থায়ী সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, সংসদ সদস্য জাফর আলম, এয়ার কমোডর মুহাম্মদ শাফকাত আলী, জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন, পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনসহ ইউএনএইচসিআর, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২৪শে নভেম্বর ২০১৯