আবু আলী, ঢাকা ॥
জঙ্গি দমনে বাংলাদেশ আজ রোল মডেল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জঙ্গিবাদ বিরোধী ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ঘোষণা করেছিলেন, জঙ্গিবাদ দমনের জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন, সেই কাজটি আমাদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দক্ষতার সাথে করেছে।
১০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাজধানীর কুড়িল বসুন্ধরায় ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) এর উদ্যোগে দুইদিন ব্যাপী উগ্রবাদ বিরোধী জাতীয় সম্মেলন ২০১৯-এর সমাপনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এ কথা বলেন। সম্মেলনে পুলিশের মহা পরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী ও ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বক্তব্য লাখেন।
আসাদুজ্জামান খান কামাল আরও বলেন, সন্তানদের সবসময় ভালো কাজে বস্ত— রাখতে হবে, যাতে তারা উগ্রবাদে জড়িয়ে না পড়ে। অতীতে টার্গেট করে দেশের নানা প্রান্তে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। দেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করার অপচেষ্টার অংশ হিসেবে বাছাই করে নানা শ্রেণি পেশার মানুষ হত্যা করা হয়।
ইসলামে জঙ্গিবাদের কোন স্থান নেই। বাংলাদেশের হাজার বছরের ইতিহাসে জঙ্গিবাদের কোন স্থান নেই। এদেশের মানুষ শান্তিপ্রিয়, তারা কখনো জঙ্গিবাদ পছন্দ করেনা। তিনি বলেন, আমি সবাইকে অনুরোধ করবো ইন্টারনেটে কোনো কিছু দেখে সহজে বিশ্বাস না করতে। শুধুমাত্র নিশ্চিত হলেই সেটা বিশ্বাস করা উচিত। নিজেদের বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগাতে হবে।
আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, আধুনিক বিশ্বে প্রযুক্তির অবাধ ও সহজলভ্য ব্যবহারের ফলে পথভ্রষ্ট, নীতিভ্রষ্ট ও বিকৃতমনা আদর্শ তথা ভয়ঙ্কর বিপদজনক উগ্রবাদ ও দ্রুত বিস্তৃতি লাভ করেছে পৃথিবীর আনাচে-কানাচে। সেজন্য আজ উগ্রবাদ পরিবার সমাজ রাষ্ট্র ও আঞ্চলিক গন্ডি পেরিয়ে বৈশ্বিক রূপ লাভ করেছে।
গত সোমবার দুই দিন ব্যাপী জাতীয় সম্মেলন ২০১৯ এর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি। সম্মেলনে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, ধর্মীয় প্রতিনিধি, সাংবাদিক ও বিদেশী কূটনৈতিকরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
১০ই ডিসেম্বর ২০১৯