আবু আলী, ঢাকা ॥
ভারতের নাগরিকত্ব বিল দেশটির ঐতিহাসিক ধর্মনিরপেক্ষ অবস্থানকে দুর্বল করবে বলে মনে করেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, ভারত ঐতিহাসিকভাবে একটি সহনশীল দেশ। তারা ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করে এবং সেখান থেকে পদস্খলন হলে ভারতের যে ঐতিহাসিক অবস্থান সেটা দুর্বল হবে বলে আমি মনে করি। ১১ ডিসেম্বর বুধবার দুপুরে বিদেশ মন্ত্রণালয়ে তার নিজ দফতরে মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলারের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, নাগরিকত্ব বিল পাসের সময় যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে সেটি ঠিক না। আমাদের ধর্মীয় সম্প্রীতি অত্যন্ত বেশি। আমাদের দেশে অন্য ধর্মের লোক নিপীড়িত নয়। সব ধর্মের লোক এখানে আছেন। সরকারি অনেক কর্মকর্তা অন্য ধর্মের লোক। সুতরাং তারা যে তথ্য দিয়েছে এখান থেকে নির্যাতিত হয়েছে সেটি ঠিক না। যারা তথ্য দিয়েছেন এবং যারা তাদের বুঝিয়েছেন তারা সত্য কথা বলেননি। আমি আশা করবো আমাদের দেশে যারা অন্য ধর্মের লোক আছে তারা বিবৃতি দেবে যে এটি ঠিক না। আমরা আশা করি বাংলাদেশে দুশ্চিন্তা বা আতঙ্ক সৃষ্টি হয় এমন কোনও কাজ ভারত করবে না। তিনি বলেন, আমরা এখানে সব ধর্মের লোক মিলেমিশে বসবাস করছি। আমরা স্লোগান দিচ্ছি ধর্ম যার যার উৎসব সবার।
বিদেশমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সোনালী অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে সৌহার্দ্য বাড়ছে। আগামী দিনে দুই দেশের মধ্যে এই সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।
রোহিঙ্গা গণহত্যার ঘটনায় আন্তর্জাতিক আদালতে শুনানি সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, অং সান সু চির মিয়ানমারকে ডিফেন্ড করাটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি নিজে সু চির মুক্তির জন্য আন্দোলন করেছি। এখন তার এই অধঃপতন দেখে আমার খুব দুঃখ লাগছে। আমি আশা করবো তিনি তার ভুল বুঝতে পারবেন এবং মানবতার পক্ষে কথা বলবেন।
১১ই ডিসেম্বর ২০১৯