বৃন্ত চ্যুত ছেঁড়া গোলাপ...
সেদিন রাতের ট্রেনে হামলায় পটু দুষ্কৃতী বাহিনী,
খবর কাগজে হেডিং"বৃন্তচ্যুত গোলাপের কাহিনী"!
শীতের রাত সাড়ে বারোটা,লোকাল ট্রেনে আমি
প্রায় ফাঁকা,ঘুম ভাঙলো পেলাম কান্না গোঙানি!
ভারী বোঝা ট্রলি সঙ্গে,ফ্লাইট করেছিল বেশ লেট পাশে লেডিস কামরা ,
যা হচ্ছিল ভেবে লজ্জা হেঁট!
দুষ্কৃতীদের পোয়া বারো,লোভ-লালসায় সব মাতে
তাবলে পাগলি ভবঘুরে-কুঁড়ি গোলাপেরও সাথে!
পরের স্টেশন গুড়াপ ,পুলিশের রুটিন টহল এলো
দু চার জোড়া বুট জুতো শব্দ,তাতে বয়েই গেলো!
কামরায় তখন জনা পাঁচ লোক,ক্লান্ত বিধ্বস্ত রাত,
গোঙানি আওয়াজ হঠাৎ কমলো,চিন্তা গালে হাত!
কি জানি কে,বয়স কত,কি যে হয়েছিল ভুল-ঠিক,
বেটি বাঁচাও-কন্যাশ্রীর সমাজে বাঁচার স্বপ্ন অলীক।
শেষ স্টেশন ছিল বর্ধমান,করি চেষ্টায় ফোন আগে, ১৮২তে এমার্জেন্সি কল,
সহায়তা যদি অল্প জাগে।
কৌতুহলী পুলিশ এলো-দেখলো,সঙ্গে কিছু লোক,
সাহায্যের হাত বাড়াও,অপরিচিতরদের শুভ হোক।
কি জানি সে কেমন আছে,ধর্ষিতা"ছেঁড়া গোলাপ"
দূর থেকেও একটু চেষ্টা,নাই বা পরিচিত আলাপ।
-- রানা চ্যাটার্জী,বর্ধমান
পশ্চিমবঙ্গ
ছবিঃ ইন্টারনেটের সৌজন্যে
২৮শে ডিসেম্বর ২০১৯