Type Here to Get Search Results !

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে আরো জাপানী বিনিয়োগের আহ্বান হাসিনার

আবু আলী, ঢাকা ॥
বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা  মেটাতে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে আরোও জাপানী বিনিয়োগ প্রত্যাশা করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে (পিএমও) জাপানের সর্ববৃহৎ বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রতিষ্ঠান জিরা (জেইআরএ) কোম্পানী’র   প্রেসিডেন্ট সাতশী ওনডার সৌজন্য সাক্ষাত করার সমসয় তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, পিএমও সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকী এবং সামিট গ্রুুপের চেয়ারম্যান মুহম্মদ আজিজ খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
হাসিনা আরও বলেন,  দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং উন্নয়নমূলক কাজের সাথে সাথে বিদ্যুতের চাহিদাও দ্রুত বাড়ছে। কাজেই চাহিদা পূরনের জন্য আমাদের খাতটিতে অরোও বিনিয়োগের প্রয়োজন।’
 বৈঠক শেষে হাসিনার প্রেসসচিব বলেন, জিরা প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন যে, তাঁদের কোম্পানী জাপানে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। যা দেশের মোট চাহিদার শতকরা ৫০ শতাংশ। ‘আমরা এই বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে সক্ষম হচ্ছি।
সাতশী ওনডা প্রধানমন্ত্রীকে রিলায়েন্স বাংলাদেশ পাওয়ার এবং এলএনজি কোম্পানীর যৌথ প্রকল্প সম্পর্কেও হাসিনাকে অবহিত করেন। যেটি দেশের মেঘনা ঘাটে একটি ৭১৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছে। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ২০২২ সাল নাগাদ উৎপাদন শুরু হবে। তাঁরা ইতোমধ্যেই দেশের সামিট পাওয়ার লিমিটেডে’র সঙ্গে যৌথ ভাবে একটি ৩৩৫ মেগওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করেছে উল্লেখ করে জিরা সভাপতি বলেন, ‘আমরা সামিটের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে আরো কয়েকটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করতে চাই।
সাতশী ওনডা বলেন, সামিট-জিরা মিতসুবিশি কনসোর্টিয়াম ইতোমধ্যে কক্সবাজারের মাতারবাড়িতে এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের জন্য সরকারের কাছে আগ্রহ প্রকাশ করে পত্র (ইওআই) জমা দিয়েছে।

২৪শে ফেব্রুয়ারি ২০২০

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.