মহামারী....
প্রতি শতকে একবার ভিন্ন ভিন্ন নামে আসো
এ কি অস্তিত্বের প্রকাশ না কি প্রতিশোধ স্পৃহা
ধনী-গরীব উচিত-অনুচিত বাছবিচারহীন
মৃত্যু লাশের ছবিতে কাগজ টি ভি বাকরুদ্ধ
তবুও তুমি অবিচল
সদর্পে আঘাত হানো রাষ্ট্র হতে রাষ্ট্রে।
তুমি প্লেগ, তুমি কলেরা, তুমি স্পেনিশ ফ্লু
এবার তোমার আত্মপ্রকাশ মহামারী করোনা নামে
দেশ জ্বলছে জ্বলুক, মানুষ মরছে মরুক
বিষন্নতার গর্ভে প্রতিটি মুহূর্ত কাটছে কাটুক
তবুও তোমার রক্ত চক্ষুর করালগ্রাস চলছে সমান তালে।
ভেবোনা তুমি অদম্য, অপ্রতিরোধ্য
কবন্ধ মানুষ নরকেও বাঁচতে জানে
দংশনে দংশনে জর্জরিত নীলকন্ঠ বিষপানেও অমর
প্রজন্ম বেঁচে থাকবে নিজের বুদ্ধিতে পরিষ্কার পরিছন্নতায়
সাবান থাকবে হাতের কাছে, এড়িয়ে চলবো সামাজিক স্পর্শ
ভালোবাসার আলিঙ্গনে বিষাক্ত দহন, জনসমাগম নৈব নৈব চ
হাঁচি-কাশি দিতে হলে দেবো মুখ ঢেকে
বাজার সেরে ফিরবো যখন কাপড় রাখবো কলতলায়
এমনি করেই তোমার গতিপথে গড়ে তুলবো হিমালয়ের প্রাচীর
এখানে কোন দার্শনিকতা নেই
বিজ্ঞানের সৃষ্টি বিজ্ঞানী করবো ধ্বংস
শুধু কয়েকদিনের অপেক্ষা, অতন্দ্র প্রহরায় একা রাত্রি যাপন
কালো মেঘের অমারাত ঘুচে যাবেই
ধ্বংসের অন্তরালেই অঙ্কুরিত হবে মহাসৃষ্টির সুপ্ত বীজ
নিত্য নব ক্ষত নিয়েই বেঁচে থাকবো
শীতল আশার প্রলেপ মেখে।
-- টিংকুরঞ্জন দাস, আগরতলা
২৯শে মার্চ ২০২০