আক্রমণ"
পৃথিবী ও মানুষ থমকে গিয়েছে ছোট্ট কণিকার মতো এক শক্তিশালী ভাইরাস করোনার কাছে। ক্ষুদ্র কণা হয়েও কতো শক্তি তার, বন্দি করেছে শ্রেষ্ঠ জীবন ও সমগ্র পৃথিবীকে! নিঃশব্দে প্রতিমুহূর্তে শাসন করছে ঘরে নজরবন্দি করে। আর এই সুযোগে বিবেকহীনরা লুটেপুটে খাচ্ছে আমাদের অস্তিত্ব; সামগ্রিকতার মধ্যেও কিছু লোকের পেছনে একটা ইজম আছে, বিকৃত লালসা আছে---আছে, সময়কে ফাঁদে ফেলে উপরে ওঠার দস্যু ইজম। এরা মঞ্চে হুংকার, সভাতে চিৎকার করে, ‘আমরা প্রস্তুত মোকাবেলায়, এরপর শুরু হয় আত্মসাৎ! দেশকে বিপাকে ফেলে লুটে নেয় অর্থ, এমনকি অসহায়দের দেহ, সম্মান ও ইজ্জৎ। এখন তাদের কানে যায় না গৃহবন্দি বিধবার আর্তনাদ-- দেখে না সড়কে চলা প্রান্তিক রিকশাওয়ালা ও দিনকাবারি মজুরেরা মৃতপ্রায় খাদ্যের অভাবে। ভাসমান সংখ্যাহীন অগণিত লোক চিন্তিত অনাহারে, করোনার ভয়ে; কেন কোনো নেতা নেই আজ তাদের দুয়ারে? অথচ ভোটের বেলায় এরা নিশিদিন কাদায় পা রাখে, হয়তো এসবে এখন আর তাদের কিছুই যায় আসে না! মিডিয়ায় বুলি, ‘ভয় পাবেন না আমরা প্রস্তুত।’ জনগণের চোখে আঙুল রেখে সরকারকে বোঝায়, সব প্রস্তুত। আসলে এসবই নির্বিকার আত্মসাতের কূটকৌশল মাত্র। ঘরে আলো জ্বলছে ঠিকই! চারদিকে সুনসান নিরবতা করোনার আতংক! মানুষের চোখেমুখে জমছে কান্না, বুকে জ্বলছে ভয়ের আগুন। বিবেক জ্বলছে, তৃষ্ণা জ্বলছে, জ্বলছে ফেলে আসা জীবনের সব ক্ষেত্রফল, সব জ্বলে হবে শ্মশানের স্তূপ। তবুও জীবন থেমে থাকবে না! এই আতংকপুরী মৃত্যুশ্মশানে বসে মানুষ একটু বাঁচার প্রহর গুণছে। আর দস্যুরা গুণছে মুদ্রার পাহাড় এসব দস্যু আরো নিপুণ দস্যু হতে রাতদিন বক্তৃতা ও ভিডিওবার্তায় আতংক ছড়িয়ে মানুষের মন কাঁপানোতেই বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়ছে। আক্রমণ আক্রমণ আক্রমণ! মহামারী হয়ে আসছে আতংক, ঘরে বসে থাকুন, আমরা সব সেবা দোরগোড়ায় পৌঁছে দেবো। আসলে যুগে যুগে এসব করোনারা আসে বিবেককে জাগ্রত করার নামে ভয়ে সৃষ্টিকর্তার কাছে ক্ষমা চেয়ে শুধরে নেয়ার কথা বলতে। কিন্তু দিন শেষে কিছুই বদলায় না! এসব করোনারা সময়ের ফাঁদে বানায় ফকির থেকে ক্রমশ হয়ে হয়ে ওঠা ডাকাত। আর আসে আমাদের অস্তিত্বের বাতিঘর নিম্ন আয়ের মানুষের জীবন নিয়ে খেলা করতে।
-- মাহাবুবা লাকি, বাংলাদেশ
৩রা এপ্রিল ২০২০
পৃথিবী ও মানুষ থমকে গিয়েছে ছোট্ট কণিকার মতো এক শক্তিশালী ভাইরাস করোনার কাছে। ক্ষুদ্র কণা হয়েও কতো শক্তি তার, বন্দি করেছে শ্রেষ্ঠ জীবন ও সমগ্র পৃথিবীকে! নিঃশব্দে প্রতিমুহূর্তে শাসন করছে ঘরে নজরবন্দি করে। আর এই সুযোগে বিবেকহীনরা লুটেপুটে খাচ্ছে আমাদের অস্তিত্ব; সামগ্রিকতার মধ্যেও কিছু লোকের পেছনে একটা ইজম আছে, বিকৃত লালসা আছে---আছে, সময়কে ফাঁদে ফেলে উপরে ওঠার দস্যু ইজম। এরা মঞ্চে হুংকার, সভাতে চিৎকার করে, ‘আমরা প্রস্তুত মোকাবেলায়, এরপর শুরু হয় আত্মসাৎ! দেশকে বিপাকে ফেলে লুটে নেয় অর্থ, এমনকি অসহায়দের দেহ, সম্মান ও ইজ্জৎ। এখন তাদের কানে যায় না গৃহবন্দি বিধবার আর্তনাদ-- দেখে না সড়কে চলা প্রান্তিক রিকশাওয়ালা ও দিনকাবারি মজুরেরা মৃতপ্রায় খাদ্যের অভাবে। ভাসমান সংখ্যাহীন অগণিত লোক চিন্তিত অনাহারে, করোনার ভয়ে; কেন কোনো নেতা নেই আজ তাদের দুয়ারে? অথচ ভোটের বেলায় এরা নিশিদিন কাদায় পা রাখে, হয়তো এসবে এখন আর তাদের কিছুই যায় আসে না! মিডিয়ায় বুলি, ‘ভয় পাবেন না আমরা প্রস্তুত।’ জনগণের চোখে আঙুল রেখে সরকারকে বোঝায়, সব প্রস্তুত। আসলে এসবই নির্বিকার আত্মসাতের কূটকৌশল মাত্র। ঘরে আলো জ্বলছে ঠিকই! চারদিকে সুনসান নিরবতা করোনার আতংক! মানুষের চোখেমুখে জমছে কান্না, বুকে জ্বলছে ভয়ের আগুন। বিবেক জ্বলছে, তৃষ্ণা জ্বলছে, জ্বলছে ফেলে আসা জীবনের সব ক্ষেত্রফল, সব জ্বলে হবে শ্মশানের স্তূপ। তবুও জীবন থেমে থাকবে না! এই আতংকপুরী মৃত্যুশ্মশানে বসে মানুষ একটু বাঁচার প্রহর গুণছে। আর দস্যুরা গুণছে মুদ্রার পাহাড় এসব দস্যু আরো নিপুণ দস্যু হতে রাতদিন বক্তৃতা ও ভিডিওবার্তায় আতংক ছড়িয়ে মানুষের মন কাঁপানোতেই বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়ছে। আক্রমণ আক্রমণ আক্রমণ! মহামারী হয়ে আসছে আতংক, ঘরে বসে থাকুন, আমরা সব সেবা দোরগোড়ায় পৌঁছে দেবো। আসলে যুগে যুগে এসব করোনারা আসে বিবেককে জাগ্রত করার নামে ভয়ে সৃষ্টিকর্তার কাছে ক্ষমা চেয়ে শুধরে নেয়ার কথা বলতে। কিন্তু দিন শেষে কিছুই বদলায় না! এসব করোনারা সময়ের ফাঁদে বানায় ফকির থেকে ক্রমশ হয়ে হয়ে ওঠা ডাকাত। আর আসে আমাদের অস্তিত্বের বাতিঘর নিম্ন আয়ের মানুষের জীবন নিয়ে খেলা করতে।
-- মাহাবুবা লাকি, বাংলাদেশ
৩রা এপ্রিল ২০২০