ঢাকা ব্যুরো এডিটর:
করোনা চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপিতে বিস্ময়কর সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ। সোমবার ( ১৮ মে) সন্ধ্যায় সংবাদমাধ্যমের কাছে এ দাবি করেছে সে দেশের পুলিশ হাসপাতাল।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, প্লাজমা থেরাপি দেয়া রোগীর অক্সিজেন গ্রহণের ক্ষমতা একদিনেই বেড়েছে ৩০ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত।
পুলিশ হাসপাতালের চিকিৎসক পুলিশ সুপার এমদাদুল হক বলেন, দুই দিনের মধ্যেই পুলিশ হাসপাতালে রক্ত থেকে প্লাজমা সংগ্রহ শুরু হবে।
তিনি বলেন, প্লাজমা থেরাপী নিয়ে আমরা অত্যন্ত আশাবাদী। তবে এখন পর্যন্ত রক্তের প্লাজমা আমাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে সেপারেশন করে নিয়ে আসতে হচ্ছে। আমরা পুলিশ হাসপাতালেই প্লাজমা প্রক্রিয়াকরণের মেশিন বসানোর কার্যক্রম শুরু করেছি। দুই তিন দিনের মধ্যেই এই কার্যক্রম শেষ হয়ে যাবে।
এদিকে, বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, করোনায় সংক্রমিত হওয়ার পর যারা পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেন, তাদের প্রত্যেকের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। অর্থাৎ রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে। করোনাজয়ী ব্যক্তির দেহে তৈরি অ্যান্টিবডি যদি করোনায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়া ব্যক্তির শরীরে প্রয়োগ করা হয়, তাহলে তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মানুষের রক্তের জলীয় অংশকে বলা হয় প্লাজমা। রক্তে প্লাজমা থাকে ৫৫ ভাগ। করোনাজয়ীর অ্যান্টিবডি থাকে রক্তের প্লাজমায়। সুস্থ ব্যক্তির দেহ থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করে তা করোনায় সংক্রমিত অসুস্থ ব্যক্তির শরীরে প্রয়োগ করা হয় বলে এই চিকিৎসাপদ্ধতির নাম হয়েছে 'প্লাজমা থেরাপি'।
১৮ই মে ২০২০
১৮ই মে ২০২০