আরশি কথা

আরশি কথা

No results found
    Breaking News

    লক ডাউনে বাংলাদেশে আটকে থাকা ১৭০ শিক্ষার্থী ফিরছে ভারতে

    আরশি কথা
    আবু আলী, ঢাকা ।। নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে বাংলাদেশে অবস্থানরত ১৭০ জন ভারতীয় শিক্ষার্থী ঢাকা ছেড়েছেন। ৮ মে শুক্রবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার এক বিশেষ ফ্লাইটে তারা ঢাকা ছাড়েন। বাংলাদেশে অবস্থানরত ভারতীয় হাইকমিশন জানায়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বিদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের দেশে ফিরিয়ে আনতে ‘বন্দে ভারত মিশন’ নামে বৃহত্তম প্রত্যাবাসন কার্যক্রম শুরু করেছে। এ ভারতীয় নাগরিকদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা চাকরি, পড়াশোনা, ইন্টার্নশিপ, পর্যটন, ব্যবসা ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে লকডাউনের আগে বিভিন্ন দেশে গিয়েছিলেন। এছাড়াও রয়েছেন অন্য ভারতীয় নাগরিক। যাদের চিকিৎসা সংক্রান্ত জরুরি পরিস্থিতি বা পরিবারের সদস্যের মৃত্যুজনিত কারণে ভারত সফর অনিবার্য। বাংলাদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের ৮ মে থেকে পর্যায়ক্রমে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে এয়ার ইন্ডিয়ার সাতটি ফ্লাইট ভারতীয় নাগরিকদের শ্রীনগর ৮, ১২ ও ১৩ মে, দিল্লী ৯ ও ১১ মে, মুম্বাই ১০ মে ও চেন্নাই ১৪ মে নিয়ে যাবে। প্রতিটি ফ্লাইটে প্রায় ১৭০ জন যাত্রী বহন করা হবে। প্রথম ফ্লাইটে ঢাকার বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ থেকে আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের শ্রীনগরে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। হাইকমিশন এ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিরবচ্ছিন্নভাবে যোগাযোগ রক্ষা করে এবং এ কঠিন পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ উদারতার সঙ্গে পাশে থাকা মেডিক্যাল কলেজসমূহের অধ্যক্ষদের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় খাদ্য, বাসস্থান, অর্থ ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় সমাধান করেছে। বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ বিমানবন্দরে উপস্থিত হয়ে বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়া ভারতীয় নাগরিকদের প্রথম দলটিকে বিদায় জানান এবং তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। শিক্ষার্থীদের নিরাপদে দেশে ফেরার শুভেচ্ছা জানিয়ে হাইকমিশনার বিদেশে ভারতীয় নাগরিকদের কল্যাণে ভারত সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তরুণ শিক্ষার্থীরা ঈদের আগে বাড়ি ফিরতে পারায় হাইকমিশনার সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি শিক্ষার্থীদের ভারতে পৌঁছানোর পর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করার পরামর্শ দেন। শিক্ষার্থীরা তাদের প্রত্যাবাসনে সহযোগিতার জন্য হাইকমিশনকে ধন্যবাদ জানায়। ‘বন্দে ভারত মিশন’ বেসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং রাজ্য সরকারের সমন্বয়ে পরিচালিত একটি বৃহত্তর কার্যক্রম যাতে ছিল সমন্বিত প্রচেষ্টা, সুচিন্তিত পরিকল্পনা, জটিল সমন্বয় ও বাস্তবায়ন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রত্যাবাসন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বেশিরভাগ রাজ্যের নোডাল অফিসারদের নিয়োগ দিয়েছে।

    ৮ই মে ২০২০
    3/related/default