আসিফ সরকার, জাপান: জাপানের রাজধানী টোকিওর প্রাণ কেন্দ্র কিতাকু ওয়ার্ডের অন্তরভু্ক্ত জুজো নাকাহারাতে অবস্থিত এম.কে. হালাল ফুড। যা কিনা খুব অল্প সময়েরমধ্যে সফলতার পথে এগিয়ে চলছে।
২০১৯সালে এম.কে ইন্টারন্যাশনাল নামে কোম্পানীটি তাদের যাত্রা শুরু করে এবং তাদের হালাল ফুড শপের নাম এম.কে হালাল ফুড নামে চালু করেন। যা কিনা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই প্রবাসী বাংলাদেশী সহ অন্যান্য দেশের গ্রাহকদের মনের ভিতরে স্থান করে নেয়।
প্রতিষ্ঠানটির স্বতাধিকারী মো: ওমর ফারুক (ইমন) জানান,
তিনি ঢাকার মিরপুরে জন্মগ্রহণ করেন তবে তার মা ও বাবা দুজনেই মুন্সিগঞ্জ(বিক্রমপুরের)। তিনি ঢাকাতে বড় হয়েছেন এবং সেখানেই লেখাপড়া শেষ করে ২০১৪ সালে জাপানের টোকিও তে ছাত্র হিসেবে আসেন।
জাপানে তার পথ চলা জাপানীজ স্কুল থেকে যেখানে সে ২বছর জাপানী ভাষা শেখেন পরে ৩বছর জাপানীজ কলেজে পড়াশুনা করে পড়াশুনার ইতি টানেন।
তাহার ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিলো একজন সৎ ও আদর্শবান ব্যবসায়ী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করা পাশাপাশি ভিন্ন ধর্মীয় একটি দেশে হালাল খাবারের সল্পতা দেখে তিনি হালাল খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকেই তার পছন্দ হিসেবে বেছে নেন।তারপর তিনি তার মায়ের দোয়া ও পরিবারের সকলের অনুপ্রেরনায় এম.কে ইন্টারন্যাশনাল নামের কোম্পানীটির প্রতিষ্ঠা করেন। যা কিনা তার মায়ের নাম থেকে ১ম অক্ষর এম এবং বাবার নাম থেকে কে নেওয়া হয়েছিলো।
এম.কে হালাল ফুড তার প্রতিষ্ঠার পর থেকে পণ্যের গুনগত মান অটুট রাখার পাশাপাশি ভোক্তাদের চাহিদা ও মতামতের ভিত্তিতে ব্যবসাকে প্রসারিত করেন এবং প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রক্ষা ও বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যবহারের মাধ্যমে ধীরে ধীরে দেশীয় ভোক্তার বাহিরেও জাপানীজ নেপাল,ভিয়েতনাম,চাইনিজ সহ অন্যান্য দেশের ভোক্তাদের কাছেও খুব দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করে ব্যবসায়ের অগ্রগতির পাশাপাশি সফলতার পথে হাটতে শুরু করে।
তাছাড়া তিনি নতুন উদ্যোগতাদের জন্য আরও বলেন,একজন নতুন ব্যবসায়ীদের সর্বপ্রথম যে কাজটি করতে হবে তা হলো প্রথম ছয় মাসে দ্বিগুণ পরিমান পরিশ্রম করে ব্যবসায়ের হাল ধরতে হবে এছাড়া বিকল্প কোন পথ নাই।এসময়ে ব্যবসা করা কঠিন তাই সঠিক ও দক্ষ পরিচালনার অভাব দেখা দিলে ব্যবসা লোকসানের সম্ভাবনা থাকে এমনকি কোম্পানী গুটিয়ে নিতে হতে পারে।
মো:ওমর ফারুক (ইমন) জাপানের সফল তরুণ ব্যবসায়ী। নতুন ব্যবসা পেশায় আগ্রহী তরুণ প্রজন্মের কাছে একজন আইডল হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে।
এম,কে হালাল ফুড বাংলাদেশী হালাল সর্ব প্রকার পন্য সহ বিভিন্ন দেশের হালাল সামগ্রী সল্প মূল্যে বিক্রয় করে যার মান ও গুনগত দিক দিয়ে বিবেচনা করলে বেশ ভালো পন্য সরবরাহ করে থাকেন।তাছাড়া জাপানের যেকোন যায়গায় তাকোবিন অথবা হোমডেলিভারী সিস্টেমের মাধ্যমে একদিনে খুব দ্রুত পন্য ডেলিভারী দিয়ে থাকেন যার জন্য দিন দিন জনপ্রিয়তার প্রসার ঘটছে।
এছাড়া এম.কে হালাল ফুডের স্বত্বাধিকারী সকল ক্রেতাদের প্রতি অনুরোধ রেখে বলেছেন,আপনারা সবাই আমাদের দোকানে আসবেন এবং আমাদের ব্যবসাকে আরো প্রসারিত করতে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিবেন। আশা করি ভুলত্রুটি থাকলে আমরা তা সংশোদ্ধন করে আরো গুনগত মান বৃদ্ধি করতে পারবো. আর যারা দুরে থাকেন দোকানে আসা সম্ভব না তাদের তাকোবিনের মাধ্যমে অতি অল্প সময়ে এবং গুনগত মান সম্মত হালাল পন্য সরবরাহ নিশ্চিত করে সকলের সেবা করার আপ্রান চেষ্টা করবো সেক্ষেত্রে সকলের দোয়া ও সহযোগীতা প্রত্যাশা করি।
২১শে জুন ২০২০