পৃথিবী জুড়ে তৈরী হয়েছে এক ভয়ংকর সংকটজনক পরিস্থিতি,সেই কারনে সমস্ত জীবকুল অসহায়।সেই অসহায়তার ছাপ আমাদের দেশকেও গ্রাস করেছে।আমাদের দেশে বৈচিএ্যের মধ্যে ঐক্য।তাই এই বিষয়ে আলোচনা করতে গেলে বিস্তারিত ভাবে বলা দরকার।কয়েকটি বিষয় উপলব্ধি করে উদাহরণ দিয়ে সকলের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষন করছি।প্রথমেই আসা যাক অনটন বিষয়ে,একদিকে মানুষের কাজ নেই,খাবার নেই,এমনকী বেচে থাকার জন্য ওষুধও নেই।তাই সাধারণ মানুষের জীবন ও জীবিকা ভীষন ভাবে সমস্যার সম্মুখীন।দ্বিতীয় ক্ষেত্রে বলা যেতে পারে সেবার নাম করে ব্যবসা,করোনা ভাইরাসের কারনে বেশ কিছু সদ্য গজিয়ে উঠা ব্যাঙ এর ছাতার মত তৈরী হওয়া সংস্থা আরও অনেক কিছু।সাধারণ মানুষের থেকে সাহায্য নিয়ে অসহায় মানুষদের দেবার নাম করে টাকা ইনকাম করা ইত্যাদি।এই দুঃসময়েও চলছে নানা উপায়ে সহজে টাকা রোজগার করবার পন্থা।
তৃতীয়ত মানুষের মূল্যবোধ চূড়ান্ত ভাবে বিপন্ন।আজকে এই দুঃসময়ে প্রতিটি মানুষ মানসিকভাবে হতাশ।কিন্তু কিছু মানুষ এখনও আছে না খেয়ে থাকবেন,কিন্তু মুখ ফুটে বলবেন না কিছু।তবে লজ্জাজনক ভাবে কিছু মানুষ অসহায়দের মুখে দুমুঠো অন্ন তুলে দিয়ে নিজেকে এতটা মহান মনে করেন ভাবতেও কেমন যেন লাগে।চতুর্থত, রাষ্ট্র চলে নিজস্ব ভাবনা চিন্তা নিয়ে। যে কোন সরকার জরুরীকালীন ভিওিতে বিভিন্ন রকম পদক্ষেপ গ্রহন করে থাকে।একজন সুনাগরিকের উচিত রাষ্ট্র এর ঘোষিত সব নিয়মকানুন মেনে চলা এবং সেই সাথে অন্যদেরও সচেতন করা যা দায়বদ্ধতার মধ্যে পড়ে।আমাদের দেশে জন্ম নিয়েছেন বিশ্বকবি, অর্থনীতিতে নোবেল জয়ী বিজ্ঞানী,চলচ্চিত্রে অস্কার পাওয়া ব্যক্তি,সমাজসেবা করে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্মানে থাকা মানুষ,কত শত শিল্পী প্রতিভার মানুষ।তাদের কর্মে এবং সৃষ্টিতে আমরা সমৃদ্ধ, গর্বিত।আমরা আশা রাখি আমার দেশে নতুন অর্থনীতি তৈরী হবে, কর্মসংস্থান তৈরী হবে।নতুন সূর্য উঠবেই।সমস্যা মিটিয়ে নতুন সমাধান রাস্তাও একদিন বের হবে।কিন্তু ভেকধারীদের জাহির করা সমাজসেবা এবং তার নাম করে ব্যবসাও একদিন বন্ধ হবে।তাই কথায় কথায় রাষ্ট্র এর বিরোধীতা করে নিজেকে মহান প্রতিপন্ন করা মানে কিন্তু মূর্খতা ও অজ্ঞতার সামিল।
সবশেষে কবির বিখ্যাত উক্তি দিয়েই শেষ করছি -- "আপনাকে বড় বলে বড় সেই নয়,লোকে যাকে বড় বলে বড় সেই হয়।"
দেবাশীষ মজুমদার
২৪ পরগণা
৬ই জুলাই ২০২০
তৃতীয়ত মানুষের মূল্যবোধ চূড়ান্ত ভাবে বিপন্ন।আজকে এই দুঃসময়ে প্রতিটি মানুষ মানসিকভাবে হতাশ।কিন্তু কিছু মানুষ এখনও আছে না খেয়ে থাকবেন,কিন্তু মুখ ফুটে বলবেন না কিছু।তবে লজ্জাজনক ভাবে কিছু মানুষ অসহায়দের মুখে দুমুঠো অন্ন তুলে দিয়ে নিজেকে এতটা মহান মনে করেন ভাবতেও কেমন যেন লাগে।চতুর্থত, রাষ্ট্র চলে নিজস্ব ভাবনা চিন্তা নিয়ে। যে কোন সরকার জরুরীকালীন ভিওিতে বিভিন্ন রকম পদক্ষেপ গ্রহন করে থাকে।একজন সুনাগরিকের উচিত রাষ্ট্র এর ঘোষিত সব নিয়মকানুন মেনে চলা এবং সেই সাথে অন্যদেরও সচেতন করা যা দায়বদ্ধতার মধ্যে পড়ে।আমাদের দেশে জন্ম নিয়েছেন বিশ্বকবি, অর্থনীতিতে নোবেল জয়ী বিজ্ঞানী,চলচ্চিত্রে অস্কার পাওয়া ব্যক্তি,সমাজসেবা করে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্মানে থাকা মানুষ,কত শত শিল্পী প্রতিভার মানুষ।তাদের কর্মে এবং সৃষ্টিতে আমরা সমৃদ্ধ, গর্বিত।আমরা আশা রাখি আমার দেশে নতুন অর্থনীতি তৈরী হবে, কর্মসংস্থান তৈরী হবে।নতুন সূর্য উঠবেই।সমস্যা মিটিয়ে নতুন সমাধান রাস্তাও একদিন বের হবে।কিন্তু ভেকধারীদের জাহির করা সমাজসেবা এবং তার নাম করে ব্যবসাও একদিন বন্ধ হবে।তাই কথায় কথায় রাষ্ট্র এর বিরোধীতা করে নিজেকে মহান প্রতিপন্ন করা মানে কিন্তু মূর্খতা ও অজ্ঞতার সামিল।
সবশেষে কবির বিখ্যাত উক্তি দিয়েই শেষ করছি -- "আপনাকে বড় বলে বড় সেই নয়,লোকে যাকে বড় বলে বড় সেই হয়।"
দেবাশীষ মজুমদার
২৪ পরগণা
৬ই জুলাই ২০২০