আবু আলী, ঢাকা ।।
ভারতের রাধিকাপুর থেকে দিনাজপুরের বিরল স্থলবন্দর-হার্ডিঞ্জ রেলসেতু-খুলনা হয়ে রেললাইন মোংলা পর্যন্ত যাবে। মোংলা বন্দরে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০টি জাহাজ আসা-যাওয়া করে। এ বন্দরকে আরও আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে লাইন অব ক্রেডিটের আওতায় ভারত আট হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। খুলনা থেকে মোংলা পর্যন্ত রেল লাইন হচ্ছে। এর ফলে ভারত ও নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে বাণিজ্যিক সুবিধা হবে।
৬ জুলাই সোমবার দিনাজপুর জেলার বিরল রেল স্টেশনের উদ্বোধন ও বিরল স্থলবন্দরের সঙ্গে রেল সংযোগ স্থাপনের সম্ভাব্যতা পরিদর্শন শেষে এক সুধী সমাবেশে বাংলাদেশের নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এ কথা বলেন। এ সময় রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন উপস্থিত ছিলেন। বিরল পৌরসভার মেয়র সবুজার সিদ্দিক সাগরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ প্রশাসক আজিজুল ইমাম চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মাহমুদুল আলম, পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন, বিরল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিনাত রহমান প্রমুখ।
নৌ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, এ অঞ্চলের অর্থনীতিতে বিরল স্থলবন্দর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ২০০৮ সালে দিনাজপুরে নির্বাচনী জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, বিরলে স্থলবন্দর হবে। ইশতেহার বাস্তবায়ন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করে যাচ্ছেন। ২০০৯ সালে যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফর করেন। সেসময় তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি করেছিলেন, রাধিকাপুর-বিরলে রেল যোগাযোগের বিষয়ে। তারই ধারাবাহিকতায় বিরল থেকে রাধিকাপুর ডুয়েল গেজ রেলপথ স্থাপিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, করোনার সময়ে গোটা বিশ্বের উন্নয়ন যখন থমকে দাঁড়িয়েছে; বাংলাদেশ তখন এর ব্যতিক্রম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বে আমরা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে করোনাও মোকাবিলা করে যাচ্ছি। উন্নয়ন-অগ্রগতিও এগিয়ে নিচ্ছি। এর মধ্যেই আমাদের বাজেটও পাস হয়েছে।
৬ই জুলাই ২০২০
৬ই জুলাই ২০২০