Type Here to Get Search Results !

'বড়দিনের অসাধারণ উপহার' ঃ সুস্মিতা দত্ত,ত্রিপুরা

বারবার একটি শিশু ইতিহাসে রাজা হয়েছে কিন্তু রাজা শিশু হয়ে পৃথিবীতে এসেছে এ ধরনের নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে খ্রিষ্ট যীশুর শিশু রূপে মানুষের মধ্যে জন্মগ্রহণ করার ইতিহাসে। হ্যাঁ বড়দিনের এই শুভলগ্নে আজ থেকে দুহাজার পূর্বে ইহুদিয়ার বেথলেহেম তাঁর জন্ম হয়।পবিত্র বাইবেলে বলা আছে ঈশ্বর জগতকে ভালবাসলেন যে নিজের একমাত্র পুত্রকে পাঠালেন যারা তাহাকে বিশ্বাস করে তারা অনন্ত জীবন পায়। সত্যি সেই খ্রিষ্ট প্রত্যেককে এত ভালবাসলেন যে এমনকি যারা তাকে ক্রশারোপিত করেছিল তাদের উদ্দেশ্য তিনি পিতা ঈশ্বরকে বলে ছিলেন 'হে ঈশ্বর তুমি তাদের ক্ষমা করো কারণ তারা জানেনা তারা কী করছে।' এভাবে তিনি ভালবাসা এবং ক্ষমাশীলতার এক সুমহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। তিনি বলেছেন যদি কেউ আমাদের সাথে অন্যায় করে আমরা যাতে তাদের ক্ষমা করে দেই যেন আমাদের স্বর্গস্থ পিতা ঈশ্বর আমাদের ভুল গুলি ক্ষমা করে দেন।আমরা নিজেদের যেভাবে ভালবাসি সেভাবেই যেন আমরা আমাদের প্রতিবেশীকেও ভালবাসি এই ভালবাসার বানীই তিনি বারবার শুনিয়ে ছিলেন। তিনি শত্রু কেও ভালবাসতে বললেন। জগতের পাপরাশি বহন করে ক্রশে প্রান দিলেন। তিনি ছিলেন পথ, সত্য ও জীবন।তিনি এসেছিলেন অন্ধকারে আলো আনতে , ভগ্ন হৃদয় কে জোড়া দিতে, ভারাক্রান্ত ও পরীশ্রান্ত দের বিশ্রাম দিতে, হারিয়ে যাওয়া দের খোঁজে বের করে তাদের সঠিক পথ দেখাতে। 

আর আজকের পৃথিবীতে যদি প্রতিটি মানুষ তার এই মতাদর্শ কে জীবনে চলার পথে পাথেয় করে চলতে পারে তাহলে সত্যি ই এই পৃথিবীতে স্বর্গ নেমে আসবে। খ্রীষ্টের এই ভালবাসা ও ক্ষমা যদি আমরা আমাদের জীবনের দ্বারা প্রতিফলিত করতে পারে সেটিই হবে বড়দিনের পূণ্য তিথিতে খ্রীষ্ট যীশু কে দেওয়া সর্বোওম উপহার।কোন সান্তা ক্লজ নয়, খ্রীষ্টমাস ট্রীও নয়, আলোক সজ্জা নয় কিন্তু যখন আমরা নিজেরা নিজেদের জীবনকে খ্রীষ্টের অনুরুপ করে তুলে ধরতে পারবে তখনই এই বড়দিনের প্রকৃত সার্থকতা।।


সুস্মিতা দত্ত,ত্রিপুরা

২৫শে ডিসেম্বর ২০২০


 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.