আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা উপলে স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করেছে ডাক অধিদফতর। ১০ টাকা মূল্যমানের একটি স্মারক ডাকটিকিট, ১০ টাকা মূল্যমানের উদ্বোধনী খাম, পাঁচ টাকা মূল্যমানের ডাটাকার্ড ও একটি বিশেষ সিলমোহর প্রকাশ করা হয়। ৬ জানুয়ারি বুধবার ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার স্মারক ডাকটিকিট ও উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেন এবং ডাটাকার্ড প্রকাশ করেন। মন্ত্রী এ বিষয়ক একটি সিলমোহর ব্যবহার করেন। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা উপলে মন্ত্রী বিবৃতি দিয়েছেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ বিষয়ক স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও ডাটাকার্ড বুধবার থেকে ঢাকা জিপিওর ফিলাটেলিক ব্যুরো থেকে এবং পরে দেশের অন্যান্য জিপিও এবং প্রধান পোস্ট অফিসগুলো থেকে সংগ্রহ করা যাবে। মন্ত্রী বলেন, বাঙালির জন্য অসাম্প্রদায়িক ও একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ২৪ বছরের সংগ্রামের ঐতিহাসিক ভূমিকা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ১৯৬৮ সালের ৩ জানুয়ারি দায়ের করা মামলাটির পূর্ণ নাম ছিল ‘রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবুর রহমান গং মামলা’। তৎকালীন পাকিস্তান সরকার আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমানসহ ৩৫ জনকে আসামি করে এই মামলা দায়ের করেছিল। কিন্তু এটি আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা হিসেবেই বেশি পরিচিত। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছিল, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় কথিত ষড়যন্ত্রটি শুরু হয়েছিল। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদমুখর হয়ে ওঠে সাধারণ জনতা। প্রবল গণ-আন্দোলনের মুখে আইয়ুব খানের সরকার আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়। ঊনসত্তরের গণ-আন্দোলনের ফলে সরকারপ্রধান আইয়ুব খান সমগ্র পাকিস্তানের রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করতে বাধ্য হয়। আইয়ুব খান ১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাটি প্রত্যাহার করে নিতে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল আসামিকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। মোস্তাফা জব্বার বলেন, জানুয়ারি মাসে পাকিস্তানের শাসক জেনারেল আইয়ুব খানের পতন ঘটে। এই মামলা এবং মামলা থেকে সৃষ্ট গণ-আন্দোলনকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পেছনে প্রেরণাদানকারী অন্যতম প্রধান ঘটনা।
আরশিকথা বাংলাদেশ সংবাদ
৬ই জানুয়ারি ২০২১