অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যতে সমুদ্রের উপরে প্লাস্টিকের প্রভাব বিশাল এবং ধ্বংসাত্মক। এবার তারই সন্ধানে সমুদ্রবক্ষে যাত্রায় বের হন বিজ্ঞানীরা। একজন বিজ্ঞানীর সর্বশেষ অনুসন্ধানে জানা গেছে যে প্লাস্টিক পৃথিবীর গভীরতম স্থানেও প্রবেশ করেছে। ফিলিপিনোর মাইক্রোবায়াল সমুদ্রবিদ, ডাঃ দেও ফ্লোরেন্স ওন্ডা সম্প্রতি পৃথিবীর তৃতীয় গভীরতম মহাসাগরের খাদে এই প্রথম যাত্রা করেছেন। তখন অনুসন্ধানের সময় গভীরতম মহাসাগরের বক্ষে তিনি প্লাস্টিক আবিষ্কার করে একরকম অবাকই হয়েছেন। ডাঃ ওন্ডা ফিলিপাইন পরিখার একটি অংশ এই তৃতীয় গভীরতম খাদ দ্য এমডেন ডিপ ভ্রমণ করেছেন সম্প্রতি। যা কয়েক মাস আগে অবধি অন্বেষণ করা পৃথিবীর প্রাচীনতম সমুদ্র উপকূলগুলির মধ্যে একটি হিসাবে ধরা যায়। ডাঃ ওন্ডা মার্চে আমেরিকান এক্সপ্লোরার ভিক্টর ভেসকোভা দিয়ে যাত্রা করেছিলেন। এই বিজ্ঞানীদের নিয়ে দলটি প্রায় ১২ ঘন্টা পরিখাটি অনুসন্ধান করেছিল এবং তারা যা পেয়েছিল তা দেখে অবাক হন তাঁরা। এক সাক্ষাৎকারে ডঃ ওন্ডা জানালেন যে, তিনি একটি জেলিফিশের খোঁজ করতে গিয়ে এক টুকরো প্লাস্টিকও খুঁজে পান। তাঁর কথায়, আমরা যখন অঞ্চলটি ঘুরে দেখছিলাম তখন একটি মজার দৃশ্য ছিল। চারদিকে একটি সাদা উপাদান ভেসে উঠছিল। আমি তখন আমার সঙ্গিকে বলছিলাম, ‘ভিক্টর,এটি একটি জেলিফিশ’। তিনি আরও বলেন যে পরিখায় প্রচুর আবর্জনা ছিল – যেমন প্লাস্টিক, প্যান্ট, শার্ট, একটি টেডি বিয়ার এবং প্যাকেজিং আইটেম। অর্থাৎ প্লাস্টিক থেকে দূরে রইল না পৃথিবীর তৃতীয় গভীরতম সমুদ্র খাদও। সেখানেও পৌঁছে গিয়েছে এই ধ্বংসাত্মক উপাদান।
আরশিকথা পাঁচমিশেলি
৩১শে মে ২০২১