পাঁচ রাজ্যে বিজেপি প্লাস হয়েছে। ভোটের হার বেড়েছে। তবে পশ্চিমবঙ্গের যে সন্ত্রাস চলছে তা বন্ধ করার জন্য তৃণমূল সুপ্রিমোকে-ই দায়িত্ব নিতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে যেন গণতন্ত্র রক্ষা পায়। মঙ্গলবার বিকেলে প্রদেশ বিজেপির কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথাগুলি বললেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে ফল প্রকাশের পর এ পর্যন্ত ৬ জন বিজেপি কর্মী খুন হয়েছেন। মহিলাদের উপর অত্যাচার হচ্ছে। হামলা, ভাঙচুর, লুট হচ্ছে। অথচ আসামে বিজেপি ক্ষমতায় ছিল। আরো ভালো ফল করে এবার ক্ষমতায় এসেছে। সেখানে তো কিছু হচ্ছে না। পন্ডিচেরিতে এই প্রথম এনডিএ সরকার গড়ছে। সেখানেও সন্ত্রাস নেই। কিন্তু বাংলায় কেন এমন হচ্ছে ? মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জেপি নাড্ডা বাংলায় পৌঁছে গেছেন। সারাদেশে প্রতিবাদ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। বুধবার থেকে সারা দেশে প্রতিটি মন্ডলে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখাবেন কুড়ি জন দলীয় কর্মী। কোভিডের কারণে বেশি লোক জড়ো করা যাবে না। তাছাড়া বুধবার সন্ধ্যা সাতটায় প্রত্যেকের বাড়ির সামনে পাঁচটি মোমবাতি জ্বালাবেন বাংলায় দলীয় কার্যকর্তাদের আত্মার শান্তি কামনায়। সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি ডা: মানিক সাহা, উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা সহ দুই সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক এবং রেবতী ত্রিপুরা। মুখ্যমন্ত্রীর পাঁচ রাজ্যের ফলাফল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে বলেন, প্রতিটি রাজ্যেই বিজেপির ভোট অনেকটাই বেড়েছে। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে বলেন, রাজ্য সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। ভেন্টিলেশন, অক্সিজেন বেড, সব কিছুর ব্যবস্থা আগের থেকে অনেক ভালো। আগরতলায় যেমন চিকিৎসা ব্যবস্থা আছে তেমনি ধর্মনগর, উদয়পুর সব জায়গাতেই আছে। ১৮ থেকে ৪০ বছর পর্যন্ত বয়সীদের টিকাদান প্রসঙ্গে বলেন, রাজ্য থেকে অর্ডার পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রে। খুব শীঘ্রই এই বয়সীদের টিকা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। তাছাড়া রাজ্যে টিকার কোন সংকট নেই বলেও দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। কয়েক দিনের মধ্যে চার লক্ষ টিকা আসছে বলেও জানান তিনি। প্রয়োজনে লকডাউন যদি দিতে হয় তার জন্য রাজ্য সরকার প্রস্তুত বলেও দাবি মুখ্যমন্ত্রীর। টিকাকরণের ক্ষেত্রে ত্রিপুরা অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। এদিকে রাজ্যবাসীকে করোনা বিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
৪ঠা মে ২০২১