প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় এমন অনেক বেনিফিশিয়ারিরা আছেন যাদের নামে দ্বিতীয় ও তৃতীয় কিস্তির টাকা বরাদ্দের জন্য অনুমোদিত হয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে তাদের অনেকেই এখনো ঘরের কাজ শুরুই করেননি। এই অবস্থায় সরকার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তাদের নাম প্রকাশ করেছে। তাদেরকে বলা হয়েছে তারা যেন ১১ জুনের মধ্যে লিখিতভাবে জানান কেন ঘর করতে পারবেন না কিংবা পারবেন। এরই প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে আগরতলা পুর নিগমের বামপন্থী বিদায়ী কাউন্সিলাররা।
মঙ্গলবার তাদের তরফে এক প্রতিনিধি দল ডেপুটেশন দেন আগরতলা পুর নিগমের কমিশনারের কাছে। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন পুর নিগমের প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র সমর চক্রবর্তী। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ১১ জুন যে শেষ তারিখ দেওয়া হয়েছে তা বাতিল করা, প্রত্যেক ঘর প্রাপককে ব্যক্তিগতভাবে নোটিশ দেওয়া এবং কমপক্ষে দেড় থেকে দুই মাসের সময় দেওয়া, সেক্রেটারি বা পুর কর্মচারীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সরেজমিনে তদন্ত করে বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং ঘর প্রাপক সবাই শ্রমজীবী গরিব অংশের মানুষ। সে জন্য মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা। সমর বাবু বলেন, গত বছর থেকে করোনা পরিস্থিতি চলছে। কখনো লকডাউন, কখনো কারফিউ। মানুষের হাতে নেই কাজ। এই সমস্ত নানা কারণে গরিব শ্রমজীবীরা ঘরের কাজ করতে পারছেন না। তাই তাদের সময় দেওয়া উচিত। এইভাবে তাদের চাপে ফেলা ঠিক নয়। তাই বেনেফিশিয়ারিদের মধ্যে কেউ যে বঞ্চিত না হন সেই দাবি জানান তিনি।
আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
৮ই জুন ২০২১