সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন যোগগুরু বাবা রামদেব। তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অ্যালোপ্যাথি সংক্রান্ত সমস্ত মামলা দিল্লিতে স্থানান্তরিত করা ও সমস্ত পুলিশি মামলা বন্ধ করার আর্জি জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হলেন তিনি। গত মে মাসে যখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় দেশ বিপর্যস্ত, সেই সময় অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা ব্যবস্থাকে কটাক্ষ করেন রামদেব। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এক ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা আসলে বোকামি। চিকিৎসার নামে তামাশা চলে। লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা যাচ্ছে শুধুমাত্র অ্যালোপ্যাথি ওষুধ খেয়ে।”পরে বিতর্কের জেরে এই মন্তব্য নিয়ে সাফাই দেয় তাঁর সংস্থা পতঞ্জলি। রামদেবের সংস্থার দাবি ছিল, এটা একটা গোপন বৈঠকের ভিডিও। যোগগুরু হোয়াটসঅ্যাপে আসা একটি মেসেজ সকলকে পড়ে শোনাচ্ছিলেন শুধু।আইএমএ'র চাপে পড়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন চিঠি লিখে রামদেবকে ক্ষমা চাইতে অনুরোধ করেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আহ্বানে বাবা রামদেব প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেও পালটা অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা নিয়ে গোটা ২৫ প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন। এরপরই যোগগুরুকে ১ হাজার কোটি টাকার মানহানির নোটিস পাঠায় আইএমএ’র উত্তরাখণ্ড শাখা। একাধিক রাজ্যে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হয় এফআইআর। তাঁর গ্রেপ্তারির দাবিতে সরব হয় সোশ্যাল মিডিয়াও।
আরশিকথা দেশ-বিদেশ
২৩শে জুন ২০২১