কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে কিষাণ রেলের মাধ্যমে উৎপাদিত ফসল রপ্তানির সুযোগ পেয়ে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন রাজ্যের কৃষকরা। বাধারঘাট রেলস্টেশন থেকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রথম কিষাণ রেলের উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। রাজ্য থেকে আনারস, কাঁঠাল নিয়ে দিল্লির উদ্দেশে যাত্রা করে এই ট্রেনটি। সবুজ পতাকা নেড়ে এদিন কিষাণ রেলের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রীসহ উপস্থিত অতিথিরা।
উল্লেখ্য, এদিন যে কিষাণ ট্রেন আগরতলা থেকে রওনা হল সেই ট্রেনে দিল্লির আদর্শনগর যাচ্ছে ৮,৯৯০ কেজি আনারস এবং গুয়াহাটি যাচ্ছে ১,১৪৫ কেজি আনারস ও কাঁঠাল।কিষাণ রেলের সূচনা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,আমাদের দেশ কৃষি প্রধান। মন কি বাত অনুষ্ঠানে ত্রিপুরার কাঁঠালের উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই কিষাণ রেল শুরু হওয়ার ফলে খুব কম খরচে ত্রিপুরার কাঁঠাল, রাজ্যের বিখ্যাত ফল কুইন আনারস খুব সহজেই দেশ বিদেশের বাজারে পৌঁছে যাবে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রাথমিক ক্ষেত্রগুলি অগ্রাধিকার দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের যে উদ্যোগ শুরু হয়েছে কিষাণ রেল পরিষেবা তার অন্যতম সংযোজন। এর ফলে কৃষকদের উৎপাদিত ফসল শুধুমাত্র স্থানীয় বাজার নয় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে পৌঁছে যাবে। তিনি বলেন, একটা সময় রাজ্য থেকে বিমান পথে বা সড়ক পথে পণ্য রপ্তানির খরচ ছিল অনেক বেশি। যাতে লাভের মুখ দেখতেন না কৃষকরা। এখন কিষাণ রেলের ফলে লাভের মুখ দেখবে রাজ্যের কৃষকরা।রাজ্য থেকে কিষাণ রেল পরিষেবা চালু করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলকে ধন্যবাদ জানান। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কিষাণ রেল পরিষেবা চালু হওয়ার জন্য উৎপাদিত লেবু, ধান, কাজু, ড্রাগন ফল, কাশ্মীরি কুল, আনারস, কাঁঠালসহ বিভিন্ন উৎপাদিত ফসলের উন্নত দাম পাবে কৃষকরা। এখন করোনা পরিস্থিতিতে বিভিন্ন বাজার বন্ধ থাকায় পণ্য রপ্তানি কিছুটা কম হওয়া স্বাভাবিক। তবে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই তাদের উৎপাদিত বিভিন্ন ফল ও ফসল স্বাভাবিক ভাবেই রপ্তানি বাড়বে বলে মুখ্যমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।এদিন অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়,সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক, বিধায়িকা মিমি মজুমদার সহ আরও অনেক বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
১১ই জুন ২০২১