কেন্দ্রীয় বোর্ডের তরফে সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়ে দেওয়া হল দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের মূল্যায়ন করা হবে পূর্ববর্তী তিনটি ক্লাসের ফলাফল দেখে। অর্থাৎ দশম শ্রেণি, একাদশ শ্রেণি এবং দ্বাদশ শ্রেণির ইউনিট টেস্ট এবং প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষায় পড়ুয়ারা যে নম্বর পেয়েছেন, তাঁর গড় করে নম্বর দেওয়া হবে দ্বাদশ শ্রেণিতে।দশম শ্রেণির ৫টি বিষয়ের মধ্যে সেরা তিনটি বেছে নেওয়া হবে। সেই বেস্ট অফ থ্রি’র গড়ের ভিত্তিতে দেওয়া হবে ৩০ শতাংশ নম্বর। একইভাবে একাদশ শ্রেণির ক্ষেত্রেও বেস্ট অফ থ্রি বের করে ৩০ শতাংশ নম্বর দেওয়া হবে। দ্বাদশ শ্রেণির ইউনিট টেস্ট, টার্ম পরীক্ষা এবং প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষার ফলাফলের গড় বের করা হবে। সেই গড়ের ভিত্তিতে দেওয়া হবে বাকি ৪০ শতাংশ নম্বর। প্রত্যেক স্কুলকে শিক্ষকদের নিয়ে একটি রেজাল্ট কমিটি গঠন করতে হবে। যে কমিটির কাজ হবে ‘বেস্ট অফ থ্রি’ বের করা। স্কুলের রেজাল্ট কমিটির সিদ্ধান্ত চাইলে বদলে দিতে পারে সিবিএসই এবং আইসিএসই’র মডারেশন কমিটি। এই মডারেশন কমিটিই বিভিন্ন স্কুলের মার্কিং সিস্টেমে নজর রাখবে। সব পড়ুয়ার যাতে সমানভাবে মূল্যায়ন হয়, তা নিশ্চিত করবে এই কমিটিই। রেজাল্টের ক্ষেত্রে স্কুলের অতীত পারফরম্যান্সও গুরুত্ব পাবে।আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হবে। তবে, কোনও পড়ুয়া ফলাফলে সন্তুষ্ট না হলে পরে তিনি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবে।
আরশিকথা দেশ-বিদেশ
১৭ই জুন ২০২১