মস্তিষ্কে অপারেশন চলাকালীন একটানা হনুমান চলিশা বলে গেলেন এক ২৪ বছরের তরুণী। ৩ ঘণ্টা ধরে ওই অপারেশন চলেছে। এর প্রায় পুরো সময়টাই তিনি ওই স্তোত্র বলে গিয়েছেন। তরুণীর নাম যুক্তি আগরওয়াল। তাঁর মস্তিষ্কে একটি টিউমার ধরা পড়ে। ডাক্তাররা জানিয়ে দেন, অপারেশন করতেই হবে। এই ধরনের অপারেশন খুবই সময়সাপেক্ষ ও জটিল। এইমস-এর ডাক্তাররা বহু ক্ষেত্রেই রোগীকে জাগিয়ে রেখেই তা সম্পন্ন করেন। ঠিক তেমনটাই করা হয়েছিল যুক্তির ক্ষেত্রেও। তাঁর খুলিতে একটি ইঞ্জেকশন দিয়ে সেটি অবশ করে দেওয়া হয়। ফলে কোনও রকম ব্যথাযন্ত্রণা ছিল না। কিন্তু তা না হলেও খুলিটি খুলে সেখান থেকে টিউমার বের করার জটিল অপারেশনটি জাগ্রত অবস্থায় প্রত্যক্ষ করা কম নয়। যুক্তি সাহস হারাননি। টানা হনুমান চলিশা বলে গিয়ে নিজেকে চাঙ্গা রেখেছেন। এমনকী মাঝেমধ্যে ডাক্তারদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি।রোগীকে জাগিয়ে রেখে তাঁর মস্তিষ্কে এই ধরনের অপারেশনকে বলা হয় ‘অ্যাওয়েক ক্রেনিটোমিস’। এইমস গত ২০ বছর ধরেই এই ধরনের অপারেশন করে চলেছে। গত ২২ জুলাই যুক্তির মস্তিষ্কেও অপারেশন করা হয়। নিউরো সার্জেন ডা. দীপক গুপ্তার করা অপারেশনটি সফলও হয়েছে। এই মুহূর্তে দ্রুত সুস্থতার পথে যুক্তি। বড় হয়ে তিনি শিক্ষকতা করতে চান। তাঁর সাহস দেখে মুগ্ধ এইমসের চিকিৎসকরা।
আরশিকথা দেশ-বিদেশ
২৪শে জুলাই ২০২১