ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী এক অনুপ্রেরণার নাম। তাঁর ন্যায় নীতি আদর্শে ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশিত পথে ত্রিপুরা সঠিক দিশায় এগিয়ে চলেছে। ত্রিপুরার নতুন প্রজন্ম যাতে রাজ্যে থেকেই উজ্জ্বল ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে পারেন সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে সরকার। ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির ১২১ তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে মঙ্গলবার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে আয়োজিত শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। অনুষ্ঠানের শুরুতে মুখ্যমন্ত্রী ও অন্যান্য অতিথিরা ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী ছিলেন দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ও রাষ্ট্রবাদী চিন্তাধারা সম্পন্ন ব্যক্তিত্ব। জম্মু-কাশ্মীর যাতে ভারতের সামগ্রিক উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত হয় তা চেয়েছিলাম শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী। সেই অঞ্চলের জন্য পৃথক ব্যবস্থা ও আইনের প্রতিবাদ করেছিলেন। ভারতের শান্তি ও অখণ্ডতা আঘাতপ্রাপ্ত হতে পারে এই অজুহাতে একটা অংশ এর বিরুদ্ধাচরণ করে। কিন্তু শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর সেই প্রতিবাদের প্রতিফলন হলেও দীর্ঘ সময় ধরে তা বাস্তবায়িত হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দৃঢ়তার সঙ্গে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির এই স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করে কাশ্মীরকে ভারতের উন্নয়নের মূলস্রোতের সঙ্গে যুক্ত করেছেন।বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ত্রিপুরা সরকার স্বচ্ছতার সাথে মানুষের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। এই লক্ষ্যেই অধিকাংশ পরিষেবায় অনলাইন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। ত্রিপুরাই প্রথম রাজ্য যেখানে ১০০ শতাংশ নাগরিকের আধার কার্ড হয়ে গেছে। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা রতন বিশ্বাস, বিধায়ক ডা: দিলীপ দাস, বিধায়ক মিমি মজুমদার, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর সচিব ডা: পি কে গোয়েল।
আরশিকথা ত্রিপুরাসংবাদ
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
৬ই জুলাই ২০২১