সাড়ে তিন হাজার মাদক কারবারির তালিকা তৈরি করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এরা সবাই রাজধানী ঢাকায় অবস্থান করছে বলে জানানো হয়েছে। সংস্থাটি বলছে, ঢাকায় মাদক কারবারে জড়িত এই সাড়ে তিন হাজার ব্যবসায়ীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। তালিকাভুক্ত এই মাদক ব্যবসায়ীরা কেউ সরাসরি এই কাজে জড়িত, কেউ পৃষ্ঠপোষক, আবার কেউ বিনিয়োগকারী। শুক্রবার দুপুরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রো উত্তরের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা বিভাগের প্রধান ও অতিরিক্ত পরিচালক ফজলুর রহমান। রাজধানীর গুলশান, ভাটারা, কুড়িল ও রমনা এলাকায় সাঁড়াশি অভিযানের পর ৯০ লাখ টাকা মূল্যের ৫৬০ গ্রাম আইস ও ১ হাজার ২০০ পিস ইয়াবাসহ পাঁচ মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) ঢাকা মেট্রোর-উত্তরের একটি দল। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) দাবি, জব্দ করা আইস এখন পর্যন্ত ঢাকায় আটক হওয়া আইসের সবচেয়ে বড় চালান। সংবাদ সম্মেলনে ফজলুর রহমান বলেন, তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী ছাড়াও খুচরা ও মাদকসেবীদের আলাদা তালিকা করা হয়েছে। মাদকের গড ফাদারদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। অনেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার কারণে সরাসরি ব্যবসা ছেড়ে দিলেও এখন পৃষ্টপোষকতা করছেন বা কেউ নিজে সরাসরি না জড়িয়ে লগ্নি করে অন্যদের দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছেন বলেও জানানো হয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী কোনো মাদকসেবী বা কারবারিকে আইনের আওতায় আনতে হলে তার কাছে থাকা মাদকদ্রব্য জব্দ করতে হয় উল্লেখ করে ফজলুর রহমান জানান, সাধারণত মাদকের গড ফাদারদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা বা গ্রেপ্তর করা কঠিন হয়ে যায়। কারণ মাদক থাকে নিচের দিকের খুচরা কারবারিদের কাছে। তাই তারা চেষ্টা করে যাচ্ছেন মাদক কারবারীদের হাতেনাতে ধরার জন্য।
আরশিকথা বাংলাদেশ সংবাদ
২৪শে সেপ্টেম্বর ২০২১