রূপরেখা ও পরিকল্পনা স্থির করে রাজ্যে অধিক সংখ্যায় মানুষের কাছে আয়ুষ্মান ভারত আরোগ্য যোজনার সুফল পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যে জন ঔষধীর প্রয়োগ ও ব্যবহারিক দিক বাড়াতে গুরুত্ব আরোপ করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
অনুষ্ঠানে টেলিমেডিসিন পরিষেবার সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সঞ্জীবনী প্লাটফর্মে এই স্পেশালিস্ট টেলি কনসালটেন্সি পরিসেবার সূচনা হয়। যার মূল লক্ষ্য বিশেষজ্ঞ ও বিভিন্ন বিভাগের অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ বিনামূল্যে প্রতিটি জনপদের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া।বৃহস্পতিবার এই কর্মসূচিতে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য বেশ কয়েকজনকে সম্মানিত করা হয়। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে কোভিড পরিষেবা প্রদান করতে গিয়ে আত্মত্যাগ করেছেন আশা কর্মী উমা দে ও ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজের ল্যাব টেকনিশিয়ান অনিন্দ্য দালাল।মানবতার অনন্য নজির তৈরীর জন্য তাদের কর্মনিষ্ঠা ও স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধাস্বরূপ তাদের পরিবারের সদস্যদের সম্মাননা জ্ঞাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে প্রায় সাড়ে ১২ লক্ষ সুবিধাভোগী আয়ুষ্মান ভারত আরোগ্য যোজনার আওতায় এসেছে। রূপরেখা ও পরিকল্পনা স্থির করে আরো অধিক মাত্রায় মানুষের মধ্যে এই প্রকল্পের সুফল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ চলছে। তথাপি পর্যালোচনার মাধ্যমে ক্ষেত্রে প্রকল্প রূপায়ণে আরো গতি আনতে কাজ করতে হবে। বিশেষ ভূমিকা নিতে হবে ওপিডি থেকে।বিশেষ করে আর্থিকভাবে অনগ্রসর মানুষের কাছে স্বাস্থ্য পরিষেবার সমস্ত সুযোগ পৌঁছে দিতে সবার প্রতি আহ্বান রেখে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়নে একাধিক পরিকল্পনা রূপায়িত হচ্ছে। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রধান সচিব জে কে সিনহা, অতিরিক্ত সচিব সুভাষ চন্দ্র সাহা, স্বাস্থ্য দপ্তরের অধিকর্তার ডা. সুভাশিষ দেববর্মা।
আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
২৩শে সেপ্টেম্বর ২০২১