সম্প্রতি সোস্যাল মিডিয়ায় একটি গুজব ছড়িয়ে রাজ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টার বিরুদ্ধে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। বৃহস্পতিবার এক ভিডিও বার্তায় শ্রীচৌধুরী বলেন, সম্প্রতি পানিসাগরের ঘটনাটি সম্পূর্ণ অসত্য ও ভিত্তিহীন। কোন মসজিদেই আগুন লাগানো হয়নি এবং এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সুবিধাবাদী স্বার্থান্বেষী মহল রাজ্যে ঘোলা জলে শিকারের চেষ্টা করছে। তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেন, রাজ্যে জাতি, জনজাতি ও সংখ্যালঘু সহ প্রত্যেক অংশের মানুষের মধ্যে চিরাচরিত সৌভাত্বের বন্ধনকে বিনষ্ট করার অপচেষ্টা চলছে। বিষয়টি রাজ্য সরকারের গোচরে এসেছে। তিনি বলেন, রাজ্য সরকার এবং পুলিশ প্রশাসন এই ঘটনার সম্পূর্ন তদন্ত করছে। তদন্ত মূলে বেরিয়ে এসেছে আদৌ সেখানে কোন মসজিদে আগুন লাগানোর চেষ্টা করা হয়নি। তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী সবকা সাথ, সবকা বিকাশ এবং সবকা বিশ্বাসে বিশ্বাসী। আর সেটা কোন ভাবেই কোন একটা জাতিকে বাদ দিয়ে সম্ভব নয়। একে পাথেয় করেই বর্তমান সরকার রাজ্য পরিচালনা করছে। তিনি বলেন, একটি গোষ্ঠী সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরী করে বেড়াচ্ছে। তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী রাজ্যবাসীর প্রতি আবেদন জানিয়ে বলেন, হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান, জাতি-জনজাতি ও সংখ্যালঘু অংশের মানুষ সহ প্রত্যেককে মিলেমিশে এই রাজ্যে থাকতে হবে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবও সেই দিশাতেই কাজ করছেন। তিনি কোন প্রকার গুজবে কান না দিতে আহ্বান জানান। কোথাও কোন সন্দেহ দেখা দিলে প্রয়োজনে পুলিশ, জনপ্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে এবং প্রশাসনের সাহায্য নিতে তিনি অনুরোধ জানান, যাতে শান্তিসম্প্রীতির কোন ব্যাঘাত না ঘটে। তিনি আশাপ্রকাশ করেন, তদন্তের মাধ্যমে সত্যতা বেড়িয়ে আসবে। রাজ্য সরকার থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে রাজ্যবাসী যাতে বিভ্রান্ত না হয়। অযথা বিভ্রান্ত হয়ে জাতি-জনজাতি সংখ্যালঘু মানুষের মধ্যে কোন রকম উস্কানি না দিতে তিনি আহ্বান জানান। আমরা সবাই মিলে শান্তিসম্প্রতি বজায় রেখে উন্নয়নকে ত্বরানিত করে রাজ্যকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব বলে তিনি আশাব্যক্ত করেন।
* বিজ্ঞাপন *
আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
২৮শে অক্টোবর ২০২১