বইয়ে ‘হিন্দুত্ব’ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। হিন্দুত্বের সঙ্গে উগ্র ইসলামপন্থীদের তুলনাও টেনেছিলেন। যার পর গেরুয়া শিবির দাবি করেছিল, কংগ্রেস যদি হিন্দুদের সম্মান করে থাকে তাহলে প্রাক্তন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা সলমন খুরশিদকে দল থেকে বহিষ্কার করুক। সেই সলমন খুরশিদের নৈনিতালের বাড়িতে এবার হামলার ঘটনা ঘটল সোমবার দুপুরে । ঘটনার পর কুমায়ুনের ডিজিআই নীলেশ আনন্দ জানিয়েছেন, হামলার ঘটনায় একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাকেশ কপিল-সহ আরও ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে তাঁর বাড়িতে হামলার কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা সলমন খুরশিদ। ফেসবুকে হামলার ভিডিও-সহ একটি পোস্ট দেন তিনি। লেখেন, “আমার মনে হয় এই বন্ধুরা আজ নিজেরাই প্রমাণ দিয়ে গেলেন, আমি উগ্র হিন্দুত্ব নিয়ে কিছু ভুল বলেছিলাম কি?” খুরশিদের ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে তাঁর বাড়িতে। দু’জন সেই আগুন নেভানোর প্রাণপন চেষ্টা করছেন। দেখা যাচ্ছে ভাঙচুর চালানো হয়েছে দরজা ও জানলাতেও। এদিকে সলমন খুরশিদের বাড়িতে হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা শশী থারুর। তাঁর কথায়, “লজ্জানক ঘটনা। সলমন খুরশিদ এমন একজন নেতা যিনি গোটা পৃথিবীতে ভারতের মুখকে উজ্জ্বল করেছেন।” প্রসঙ্গত, গতকালই প্রকাশিত হয়েছে সলমন খুরশিদের লেখা বই ”Sunrise Over Ayodhya: Nationhood in Our Times”। এই বইয়ের একটি পঙক্তিতে বলা হয়েছে, “সনাতন ধর্ম বা সনাতন হিন্দু ধর্মও উগ্র হিন্দুত্ববাদ দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে। এই উগ্র হিন্দুত্ব সবদিক থেকেই আইসিস বা বোকো হারামের মতোই উগ্র জেহাদি সংগঠনের সমার্থক।” এরপরই বিজেপির একাধিক নেতা অভিযোগ করেন, সলমন খুরশিদ আসলে ঘুরিয়ে হিন্দুদের অপমান করেছেন।
আরশিকথা দেশ-বিদেশ
১৫ই নভেম্বর ২০২১