দেশের জনসংখ্যার ৬৫ শতাংশই যুব সমাজ। দেশ পরিচালনায়ও এই যুব সম্প্রদায়ের আধিক্য রয়েছে। বুধবার আগরতলা মুক্তধারা হলে যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের উদ্যোগে দু’দিনব্যাপী আয়োজিত রাজ্যভিত্তিক যুব উৎসবের সূচনা করে যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী একথা বলেন।
তিনি বলেন, যুবকরা যেমন দেশের কান্ডারী তেমনি আগামীদিনেরও ভবিষ্যৎ। যুব সম্প্রদায়ের জাগরণে স্বামীজীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাই স্বামীজীর জন্মদিনকেই যুব দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি বলেন, যুব উৎসব ও যুব সম্প্রদায়কে জাগ্রত করা তাদের সঠিক পথে পরিচালনা করা, তাদের প্রতিভার বিকাশ ঘটানো এসব কিছুর জন্যই যুব উৎসব পালন করা হয়ে থাকে।তিনি বলেন, যুব সমাজই সমাজকে উন্নয়নের দিশা দেখাবে। সমাজকে সঠিক পথ দেখাবে। তিনি বলেন, যুব উৎসবের মধ্য দিয়ে যুবক যুবতীদের প্রতিভার বিকাশের সাথে একে অপরের প্রতি সৌহার্দ্যপূর্ণ মনোভাবও তৈরি হয়ে থাকে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির ভাষণে আগরতলা পুরনিগমের মেয়র দীপক মজুমদার বলেন, যুব উৎসবই হচ্ছে দেশের জাতীয় সংহতি তৈরির মূল উৎস। এই যুব শক্তিই ভারতের স্বাধীনতা অর্জনের মূল ভিত্তি ছিলো। কিন্তু আজ নানাভাবে যুব সমাজ বিপথে চালিত হচ্ছে। নেশায় মত্ত হচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের সকলের কর্তব্য হবে এই যুব শক্তিকে নতুনভাবে জাগ্রত করে দেশ গঠনের কাজে তাদের নিয়োজিত করা। তবেই হবে যুব দিবস ও যুব উৎসব পালনের স্বার্থকতা।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা সরকার (দেব) , যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের সচিব শরদিন্দু চৌধুরী, যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের অধিকর্তা সুবিকাশ দেববর্মা,পশ্চিম জেলা যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া কার্যালয়ের উপঅধিকর্তা শিমূল দাস। যুব উৎসবে রাজ্যের ৮টি জেলা থেকে ৪৬২ জন যুব শিল্পী বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে।
আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
২৯শে ডিসেম্বর ২০২১