রাজ্যের সমস্ত প্রকার পশুপাখীর সুরক্ষা এবং রোগ সংক্রমণের সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য রাজ্যে শীঘ্রই মোবাইল ভেটেরিনারী ইউনিট ও কল সেন্টার প্রকল্প চালু হতে চলেছে। এই প্রকল্পের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার চলতি ২০২১-২২ অর্থবর্ষে প্রাথমিকভাবে রাজ্যকে ১ কোটি ১২ লক্ষ টাকা অনুদান হিসাবে প্রদান করেছে। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ের প্রেস কনফারেন্স হলে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী ভগবান চন্দ্র দাস এই সংবাদ জানান। তিনি জানান, এই প্রকল্পের প্রাথমিক পর্যায়ে প্রাণী স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রদানে ১২টি অ্যাম্বুলেন্স প্রদান করা হয়েছে। এই ১২টি অ্যাম্বুলেন্স পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় বাৎসরিক খরচের ৯০ শতাংশ কেন্দ্রীয় সরকার বহন করবে। বাকী ১০ শতাংশ রাজ্য সরকার বহন করবে। ১২টি অ্যাম্বুলেন্স রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় পরিভ্রমণ করবে। প্রতিটি অ্যাম্বুলেন্স-এ একজন প্রাণী চিকিৎসক, একজন প্রাণী চিকিৎসা সহায়ক এবং একজন চালক ২৪ ঘণ্টা পরিষেবা প্রদানে নিয়োজিত থাকবেন।
মন্ত্রী শ্রীদাস জানান, এই অ্যাম্বুলেন্সগুলি একটি কেন্দ্রীয় কল সেন্টার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে। গ্রামের কোন কৃষক (প্রাণী পালক) একটি সুনির্দিষ্ট টোল-ফ্রি নম্বরে কল করার সঙ্গে সঙ্গে ঐ এলাকায় কর্তব্যরত ভ্রাম্যমান চিকিৎসকের কাছে কল পৌঁছে যাবে এবং সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসক, সহ-চিকিৎসক এবং চালক সহ অ্যাম্বুলেন্স কৃষকের (প্রাণী পালকের) বাড়িতে পৌঁছে যাবে এবং অসুস্থ প্রাণীর চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করবেন। সমস্ত প্রকারের আধুনিক প্রাণী চিকিৎসা ব্যবস্থা কৃষকের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেই এই প্রকল্প চালু করার মূল উদ্দেশ্য বলে মন্ত্রী জানান।সাংবাদিক সম্মেলনে প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী আরও জানান, প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মাধ্যমে রাজ্যের গ্রাম-শহর এলাকার মানুষকে কিভাবে আরও অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল করা যায় তার জন্য বিভিন্ন পরিকাঠামো উন্নয়নের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। পরিকাঠামোগত উন্নয়নে যে সমস্ত পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মন্ত্রী সে সকল পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন।আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
৬ই জানুয়ারি ২০২২