খেলাধুলা শারীরিক ও মানসিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একজন দায়িত্বশীল সুনাগরিক গঠনে এই বিকাশ খুবই প্রয়োজনীয়। শুক্রবার আমতলির বিবেকনগরস্থিত রামকৃষ্ণ মিশনের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় উপস্থিত থেকে একথা বলেন যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। অনুষ্ঠানে অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার পুলিশ সুপার মানিক দাস, পদ্মশ্রী দীপা কর্মকার, ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া বিভাগের মুখ্য আধিকারিক প্রশান্ত কুমার দাস ও রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠের সম্পাদক স্বামী শুভঙ্করানন্দ মহারাজ প্রমুখ। উল্লেখ্য, এই বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় রামকৃষ্ণ বিদ্যালয় ও আইটিআই-র ছাত্ররা অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠানে আলোচনাকালে ক্রীড়ামন্ত্রী মাঠে উপস্থিত ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বলেন, জীবনে সবাই ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হতে পারবে না। কিন্তু এর প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। পরবর্তীতে আমরা যে পেশার সাথেই যুক্ত হই না কেন, সেই পেশা, দেশ ও সমাজের প্রতি আমাদের নিষ্ঠাবান থাকতে হবে। তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই নেশার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। নেশা ও সুস্থ সমাজ একসঙ্গে চলতে পারে না। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে ক্রীড়ামন্ত্রী একজোট হয়ে নেশার বিরুদ্ধে লড়ার জন্য আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে পদ্মশ্রী দীপা কর্মকার বলেন, যে কোনও ধরনের খেলাধুলাই মানুষের মনে নিয়মানুবর্তিতা, কঠোর পরিশ্রম আত্মত্যাগের বোধকে জাগ্রত করে। অভিভাবকদের তাদের ছেলেমেয়েদের খেলাধুলার প্রতি অনুপ্রেরণা দেওয়ার আবেদন জানান। উপস্থিত অতিথিরা বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
৭ই জানুয়ারি ২০২২