মূলত তিনটি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিলেন প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মণ। তিনি বলেছেন বুবাগ্রা কিছু চায় না। শুধু চায় গ্রেটার তিপরা ল্যান্ড। আর আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তিপরা মথা অন্তত ৩৫টি আসনে প্রার্থী দেবে। অর্থাৎ কুড়িটি উপজাতি সংরক্ষিত আসনের বাইরে আরো ১৫ টি তে প্রার্থী দেবে তিপরা মথা। তবে শনিবার স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানের সমাবেশে যে কথাটির উপর সবচাইতে বেশি চর্চা শুরু হয়েছে তা হচ্ছে তিনি বলেছেন এতদিন তিপরাসারা বোমা-গুলিতে ইজ্জত করতো না। এখন থেকে তা করতে হবে। রাজনৈতিক মহলে দুই ভাবে এর ব্যাখ্যা শুরু হয়েছে। কেউ বলছেন বুবাগ্রা অহিংস রাজনীতির কথা বলেছেন। অর্থাৎ বোমা-গুলিকে সম্মান করতে হবে। আবার কেউ বলছেন বোমা-গুলিকে কদর করার কথা বলেছেন বুবাগ্রা। অর্থাৎ প্রয়োজনে একে ভালবেসে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। তবে গ্রেটার তিপরাল্যান্ডের দাবিতে আন্দোলনের কথা বললেও তিপরা মথার নেতৃত্ব এবং বুবাগ্রা নিজেও শান্তি বজায় রাখার কথা বলেছেন।
রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলাজনিত পরিস্থিতি এবং রাজনৈতিক সন্ত্রাস চলছে তার মোকাবেলায় বোমা গুলিকে ইজ্জত করার কথা বলে কি বার্তা দিতে চেয়েছেন তা নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা।প্রদ্যুৎ আরও বলেন,আগে তিনি কোথাও গেলে মানুষ কদর করত না। ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিত। আর আজ এত লোকের সমাবেশ। বুবাগ্রা কিছু চায় না, শুধু চায় গ্রেটার তিপরাল্যান্ড। স্বাধীনতার ৭০ বছরেও তিপরাসাদের এই দাবি করতে হচ্ছে। অন্যথায় তিপরাসাদের উন্নয়ন সম্ভব নয়। স্বাধীনতার এত বছর ধরে তারা বঞ্চিত হয়ে আসছেন। গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানান প্রদ্যুৎ।
স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে সমাবেশে আয়োজিত সমাবেশে অন্যান্য বিশিষ্টদের মধ্যে ছিলেন বিজয় রাংখল,জগদীশ দেববর্মা, অনিমেষ দেববর্মা, এডিসির মুখ্য কার্যনির্বাহী সদস্য পূর্ণচন্দ্র জমাতিয়াসহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। এই প্রথম রাজধানী আগরতলায় এত বড় সমাবেশ করে তাদের শক্তি প্রদর্শন করলো তিপরা মথা। খুমুলও কিংবা কোনো এডিসি এলাকায় নয়,রাজধানীর স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে এত বিশাল সংখ্যক জনসমাগম ঘটিয়ে নিজেদের শক্তি জাহির করলো তিপরা মথা। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কোনো দলের সঙ্গে তিপরা মথা জোটবদ্ধ হয়ে লড়াই করে, নাকি এককভাবে লড়াই করে সেটাই এখন দেখার বিষয়।
আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
১২ই মার্চ ২০২২
