বিজেপি এবং সিপিএম দুই দলই প্রার্থী ঘোষণা করল রাজ্যসভার একমাত্র আসনের জন্য। বিজেপি'র প্রার্থী হলেন রাজ্য সভাপতি ডা: মানিক সাহা। শনিবার দুপুরে তিনি বিধানসভা ভবনে গিয়ে সচিবের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন। সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক, উপমুখ্যমন্ত্রী যিষ্ণু দেববর্মা, বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণী রায়, প্রদেশ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তথা টিআইডিসি'র চেয়ারম্যান টিংকু রায়সহ অন্যান্যরা। এদিকে সিপিএম প্রার্থী করেছে প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বর্তমান বিধায়ক ভানু লাল সাহাকে। শুক্রবার রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী সাংবাদিক সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ভানু লাল সাহার নাম ঘোষণা করেছিলেন। শনিবার তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন রবিবার ছুটির দিন হওয়ায় সোমবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন।
রাজ্যসভার একমাত্র আসনের জন্য ডা: মানিক সাহার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া মানেই জয় নিশ্চিত। অর্থাৎ রাজ্যসভার সাংসদ হচ্ছেন তিনি। রাজ্যের যাবতীয় বিষয় নিয়ে এখন তিনিই রাজ্যসভায় কথা বলবেন অর্থাৎ কেন্দ্রীয় সরকারের গোচরে নেবেন। উল্লেখ্য, রাজ্য রাজনীতিতে বলা যেতে পারে ঝড়ের গতিতে উত্থান ঘটে এই দন্ত চিকিৎসকের।২০১৬ সালের মাঝামাঝিতে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। ২০১৯ সালে প্রদেশ বিজেপির সভাপতি। এখন রাজ্যসভার সাংসদ হতে চলেছেন।
অপরদিকে পরাজয় নিশ্চিত জেনেও সিপিএমের প্রার্থী হতে রাজি হয়েছেন ভানু লাল সাহা। দলের নবগঠিত রাজ্য কমিটির সভায় তার নাম চূড়ান্ত হয়। সিপিএম দলের বর্তমান ১৫ জন বিধায়ক রয়েছেন। অপরদিকে বিজেপির ৩৩ জন। আই পি এফ টি'র আট বিধায়ককে বাদ দিলেও বিজেপি প্রার্থীর জয় নিশ্চিত। শনিবার বিধানসভার সচিবের কাছে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন ভানু লাল সাহা। সঙ্গে ছিলেন বিধানসভায় বিরোধী দলের উপনেতা বাদল চৌধুরী, বিধায়ক রতন ভৌমিক, শহিদ চৌধুরী, তপন চক্রবর্তীসহ অন্যান্যরা। শ্রী সাহার নামের প্রস্তাবনায় ১৩ জন বিধায়ক স্বাক্ষর করেছেন। আগামী ২২ মার্চ হবে মনোনয়নপত্রের স্ক্রুটিনি। প্রসঙ্গত, ছয় বছরের জন্য নির্বাচিত হন রাজ্যসভার সাংসদরা। একমাত্র বিধায়করাই রাজ্যসভার প্রার্থীদের ভোট দানে অংশ নিতে পারেন।
আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
১৯শে মার্চ ২০২২