রাজ্যের বিভিন্ন ব্লকের গ্রাম পঞ্চায়েত ও এডিসি ভিলেজে ২৪০টি নতুন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের অধীনে সুসংহত শিশু উন্নয়ন প্রকল্পে এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি খোলা হবে। গত ১২ জুলাই মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ সচিবালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানান।
সাংবাদিক সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী জানান, রাজ্যে বর্তমানে ৫৬টি সুসংহত শিশু উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে ৯,৯১১টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র চালু আছে। তিনি জানান, নতুন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির মধ্যে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় ৩১টি, দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলায় ৩১টি, গোমতী জেলায় ৩৭টি, খোয়াই জেলায় ৩১টি, ধলাই জেলায় ২৭টি, সিপাহীজলা জেলায় ২৫টি, ঊনকোটি জেলায় ২২টি এবং উত্তর ত্রিপুরা জেলায় ১৪টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র খোলা হবে। এছাড়াও ব্রু পুনর্বাসন যেসব স্থানে করা হয়েছে সেইসব স্থানগুলিতে মোট ২২টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র খোলা হবে। সাংবাদিক সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী আরও জানান, জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের অধীনে জনজাতিদের স্বরোজগারি করার উদ্দেশ্যে ‘পুন বনিয়া' নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তটিও গত ১২ জুলাই মন্ত্রিসভার বৈঠকে নেওয়া হয়।শিক্ষামন্ত্রী মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তের কথা জানাতে গিয়ে বলেন, ‘পুন বনিয়া' প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো ছাগল পালনের মধ্য দিয়ে জনজাতি যুবক যুবতীদেরকে স্বরোজগারি করে তোলা। তিনি জানান, এই প্রকল্পে স্বসহায়ক দলের মধ্যে যারা সদস্য বা সদস্যা থাকবে তাদের সরকারিভাবে ছাগল ক্রয় করার জন্য ঋণ দেওয়া হবে। এই প্রকল্পে সুবিধাভোগী পিছু ব্যয় হবে ২ লক্ষ ৫১ হাজার টাকা। একটি ইউনিটে মোট ১২টি ছাগল দেওয়া হবে। সুবিধাভোগী খোলা বাজার অথবা প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তর মারফত ও ছাগল ক্রয় করতে পারবেন।আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
১৪ই জুলাই ২০২২