সমাজের কল্যাণের লক্ষ্যেই আমাদের কাজ করা প্রয়োজন। নতুন প্রজন্মের মধ্যে ভক্তিবাদ ভাবনা জাগিয়ে তুলে তাদের সঠিক পথে পরিচালনা করাও আমাদের কর্তব্য। তবেই একটি সুস্থ সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব হবে। বৃহস্পতিবার লক্ষীনারায়ণবাড়ি রোডস্থিত শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরে ৭দিনব্যাপী শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী মহোৎসবের সূচনা করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডা. মানিক সাহা একথা বলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বহুরূপের বিগ্রহের আবরণ উন্মোচন করেন মুখ্যমন্ত্রী সহ অনুষ্ঠানের অন্যান্য অতিথিগণ। মুখ্যমন্ত্রী ভাষণ রাখতে গিয়ে বলেন, কৃষ্ণের জন্মাষ্টমী হিন্দুদের জন্য একটা পবিত্র দিন। কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীকে কৃষ্ণাষ্টমী, গোকুলাষ্টমী, অষ্টমী রোহিনী, শ্রীকৃষ্ণ জয়ন্তী ইত্যাদি নামেও অভিহিত করা হয়। হিন্দু পঞ্জিকা মতে সৌর ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে যখন রোহিনী নক্ষত্রের প্রাধান্য হয় তখন জন্মাষ্টমী পালিত হয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরা যাদব মহাসভা জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে প্রতিবছরই নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে থাকে। যাদব মহাসভার আন্তরিক উদ্যোগের ফলেই শ্রীকৃষ্ণ মন্দির নতুন রূপে গড়ে উঠেছে। যাদের অবদানের ফলে শ্রীকৃষ্ণ মন্দির নতুন রূপে গড়ে উঠেছে তাদের সম্পর্কে আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা প্রয়োজন বলে মুখ্যমন্ত্রী অভিমত ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন আগরতলা জগন্নাথ জিউ মন্দিরের ত্রিদন্ডি ভিক্ষু ভক্তি কমল বৈষ্ণব মহারাজ, কাঠিয়া বাবা আশ্রমের মহন্ত সদানন্দ দাস কাঠিয়া বাবা এবং শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমী মহোৎসব কমিটির সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান সন্তোষ সাহা, ত্রিপুরা যাদব মহাসভার সাধারণ সম্পাদক নিরঞ্জন ঘোষ প্রমুখ।আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সংগৃহীত
১৮ই আগস্ট,২০২২