বিরাট এক যোগদান সভা করে চমক দিল প্রদেশ কংগ্রেস। পশ্চিম জেলার অন্তর্গত বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রগুলি থেকে আড়াই হাজার ভোটার রবিবার কংগ্রেসে যোগদান করেন বলে দাবি করেন রাজ্য নেতৃত্বরা। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন বাপ্টু চক্রবর্তী। সুদীপ রায় বর্মন ঘনিষ্ঠ এই যুবনেতা প্রদেশ যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পদ ছেড়ে পুনরায় কংগ্রেসে আসেন।
এদিন কংগ্রেস ভবনের সামনে এই যোগদান সভার নেতৃত্বে ছিলেন মূলত বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন। এছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক আশীষ কুমার সাহা, গোপাল চন্দ্র রায়, প্রদেশ কংগ্রেস পর্যবেক্ষক জরিতা লেতফলাঙ্গসহ অন্যান্যরা। আড়াই হাজারের উপর লোক কংগ্রেসের যোগ দিয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। মঞ্চে এক একটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে আগত নেতৃত্বদের স্বাগত ও অভিনন্দন জানানো হয়। বড়জলা, বামুটিয়া, খয়েরপুর, মজলিশপুর, প্রতাপগড়, বাধারঘাটসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ভোটাররা কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন বলে দাবি করা হয়।অনুষ্ঠানে বাপ্টু চক্রবর্তী বলেন, প্রায় এগারো মাসে তৃণমূলে গিয়ে তার স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে। এই দলের কোন ভবিষ্যৎ নেই। প্রতি মুহূর্তেই রাহুল গান্ধীর সঙ্গে স্মৃতিগুলি মনের মধ্যে নাড়া দিতো বলে জানিয়েছেন বাপ্টু। কংগ্রেসের ফিরে গিয়ে তাই খুশি তিনি। বাপ্টুও এদিন শাসক দল ও রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন দেশে যখন কংগ্রেসের সরকার হবে তখন মোদী, অমিত শাহরা জেলে থাকবেন। তিনি প্রশ্ন তুলেন অপারেশন লোটাস এর নামে অমিত শাহের কাছে এত নগদ টাকা কোথা থেকে আসছে? এই টাকায় বিভিন্ন বিধায়কদের দল ভাঙিয়ে বিজেপিতে নেওয়া হচ্ছে। রাজ্যে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির একজন বিধায়কও টিকে থাকতে পারবেন না বলে দাবি করেন তিনি।আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
৭ই আগস্ট,২০২২