রাজ্যের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী শচীন্দ্রলাল সিংহের ১১৬ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রদেশ কংগ্রেস ভবন প্রাঙ্গনে আয়োজন করা হয় এক যোগদান সভার। এই যোগদান সভায় উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন,রাজ্য কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক জরিতা লেতফলাং, প্রাক্তন বিধায়ক আশীষ কুমার সাহা, গোপাল রায় সহ অন্যান্যরা। অনুষ্ঠানে ২ হাজার ৫১৭ জন ভোটার সিপিআইএম ,বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা কংগ্রেস দলে যোগ দেন।
কংগ্রেস দলে যোগ দেওয়া ভোটাররা খয়েরপুর,রামনগর,বড়জলা ,বাধারঘাট, প্রতাপগড়, বামুটিয়াসহ বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্র থেকে এসেছেন বলে জানা গেছে। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে গোপাল রায় তার দীর্ঘ ৫০বছরের রাজনৈতিক জীবনের প্রসঙ্গ টেনে বিজেপি সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন।এদিকে রাজ্য কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক জরিতা লেতফলাং বলেন, ঘর ঘর রোজগারের যে স্লোগান এখন দেওয়া হচ্ছে প্রয়াত শচীন্দ্রলাল সিংহই তদানীন্তন সময়ে ঘর ঘর রোজগারের শুরুটা করেছিলেন। সে সময় বাড়িঘর থেকে যুবাদের ডেকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হতো। আর এখন যুবাদের রোজগার ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এদিকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আশীষ কুমার সাহা শাসকদলসহ তৃণমূল কংগ্রেসেরও ব্যাপক সমালোচনা করেন। এদিকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দলের একমাত্র বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন বলেন, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃত্ব কারাবরণ থেকে শুরু করে প্রাণও দিয়েছে।এদিকে ভারতীয় জনতা পার্টি সমালোচনা করতে গিয়ে শ্রী রায় বর্মন বলেন, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় যে দলের কোন ভূমিকাই ছিল না, আজ তারা নিজেদের সবচেয়ে বড় দেশপ্রেমিক বলে জাহির করতে চাইছে। সুদীপ বাবু বলেন,হর ঘর তিরঙ্গা স্লোগানটা ঠিক হয়নি। এটা হওয়া উচিত ছিল হর ঘর ন্যাশনাল ফ্ল্যাগ কিংবা জাতীয় পতাকা। কারণ তিরঙ্গা তো জাতীয় কংগ্রেসের পতাকায়ও আছে। আছে তৃণমূলসহ অন্যান্য দলের পতাকায়।এদিন এই যোগদান সভাকে কেন্দ্র করে কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে বিপুল উৎসাহ লক্ষ্য করা যায়।
আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
৭ই আগস্ট,২০২২