আগামী দিনগুলিতে আগরতলায় ন্যাশনাল গেমস আয়োজন করার লক্ষমাত্রা নিয়ে যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তর এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে রাজ্যে ৬০ কোটি টাকার ক্রীড়া পরিকাঠামো তৈরীর কাজ এগিয়ে চলেছে। খুব শীঘ্রই এইগুলির উদ্বোধন করা যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। শুক্রবার বাধারঘাটস্থিত দশরথ দেব স্পোর্টস কমপ্লেক্সে সিন্থেটিক হকি মাঠের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে যুব বিষয়ক ও ক্রীড়ামন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী একথা বলেন। তিনি বলেন, স্বপ্ন দেখতে হবে, নতুবা সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া যাবেনা। মণিপুর, আসাম ন্যাশনাল গেমসের আয়োজন করতে পারলে ত্রিপুরা কেন পারবেনা? এখানে সবকিছু করাই সম্ভব। দীপা কর্মকার এক অন্যতম উদাহরণ।
ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, আগামী দিনগুলিতে সরকারি চাকুরিতে ক্রীড়াবিদদের জন্য যাতে সংরক্ষণের ব্যবস্থা রাখা যায় সেই লক্ষ্যে রাজ্য সরকার কাজ করছে। মহারাষ্ট্রের মত বিভিন্ন রাজ্যে এই সংরক্ষণ রাখার নজির রয়েছে। তিনি বলেন, আজ যে সিন্থেটিক হকি মাঠের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে সেই মাঠটি ৬ মাসের মধ্যেই তৈরী হয়ে যাবে বলে মণিপুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের সিইও কথা দিয়েছেন।অনুষ্ঠানে ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, উমাকান্ত মিনি স্টেডিয়ামে আস্টোটার্ফ ফুটবল মাঠ তৈরীর কাজ এবছরের মার্চ মাসে শুরু হয়েছিল। কয়েকদিন আগে এর উদ্বোধনও হয়ে গেছে। এ মাসের ৩০ তারিখ জিরানীয়ার এস এন কলোনীতে আস্টোটার্ফ ফুটবল মাঠের উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। খোয়াই এবং মোহনপুরের তুলাবাগানে আগামী এক মাসের মধ্যে আস্টোটার্ফ ফুটবল মাঠের উদ্বোধন করা যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। বিলোনীয়ার বি কে আই-তেও এধরণের মাঠ তৈরীর কাজ প্রায় শেষের পথে। খুব শীঘ্রই এরও উদ্বোধন করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। পানিসাগরের আঞ্চলিক শারীরশিক্ষণ কেন্দ্রে সুইমিংপুল নির্মাণের কাজ প্রায় শেষের পথে। যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রী বলেন, নেশা আমাদের জীবন ও যৌবন সব শেষ করে দিচ্ছে। রাজ্য সরকার নেশার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। যুব সমাজকে নেশার করাল গ্রাস থেকে রক্ষা করতে হবে।অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির ভাষণে আগরতলা পুরনিগমের মেয়র দীপক মজুমদার বলেন, রাজ্যের খেলাধুলার অঙ্গণে আজ এক নতুন ইতিহাস তৈরী হয়েছে। খেলাধূলার পরিকাঠামো উন্নয়নে রাজ্যের বর্তমান সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে খেলোয়াড়দের তা সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে। স্বাগত ভাষণে যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের সচিব ড. পি কে চক্রবর্তী বলেন, আজ যে সিন্থেটিক হকি মাঠের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে তা আন্তর্জাতিক মানের হবে। ৯৯.৫ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৫৫ মিটার প্রস্থের এই মাঠটি তৈরী করতে ব্যয় হবে ৫ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদসূচক বক্তব্য রাখেন যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের অধিকর্তা সুবিকাশ দেববর্মা। অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক মিমি মজুমদার, আগরতলা পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র মণিকা দাস (দত্ত), ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগম লিমিটেডের চেয়ারম্যান সন্তোষ সাহা ও সোসাইটি ফর ম্যানেজমেন্ট অব কালচারেল কমপ্লেক্স'র চেয়ারম্যান কমল দে।আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
২৫শে নভেম্বর ২০২২