রাজনৈতিক মহলে এখন প্রশ্ন একটাই কংগ্রেস ও সিপিএমের মধ্যে জোট হচ্ছে কিনা। স্থানীয়ভাবে দুই দলের নেতৃত্বরাই যে জোটের ব্যাপারে আগ্রহী তা পরোক্ষে বুঝিয়ে দিয়েছেন।চড়িলামে সিপিএম ও বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক সন্ত্রাসে নিহত সহিদ মিয়া যেন মৃত্যুর পর আরো কাছে এনে দিয়েছেন সিপিএম এবং কংগ্রেসকে। শুক্রবার সহিদ মিয়ার বাড়িতে যান সিপিএম এবং কংগ্রেসের নেতৃত্বরা। সিপিএমের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার। প্রতিনিধির দলে ছিলেন বিধায়ক সুধন দাস, সহিদ চৌধুরী, নির্মল বিশ্বাসসহ অন্যান্যরা। তারা কথা বলেন শোকগ্রস্ত পরিবার পরিজনদের সঙ্গে। সেই সঙ্গে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার দাবিতে সকল রাজ্যবাসীকে একজোট হয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। পাশাপাশি দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান।
বিরোধী দলনেতা বলেন, রাজ্যে ফ্যাসিস্ট সরকার চলছে। সকল অংশের মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। একদলূ শাসন চলছে। তাই গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মানুষেরা যেন এগিয়ে আসেন। এদিকে সহিদ মিয়ার বাড়িতে গিয়েছেন কংগ্রেসের তরফে বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনের নেতৃত্বে একটি দল। ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক আশীষ কুমার সাহা, যুব কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি রাখু দাস। সুদীপ রায় বর্মন বলেন, সহিদ মিয়াকে নির্মমভাবে হত্যা করার ঘটনাটি সারা রাজ্যে প্রচারে নিয়ে যাবেন। ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে মানুষকে দেখানো হবে কতটা নির্মমভাবে একজন বয়স্ক নাগরিককে হত্যা করা হয়েছে। কংগ্রেস অসহায় পরিবারটির পাশে আছে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি। দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন সুদীপবাবু। ঘটনার তীব্র নিন্দা জানানোর পাশাপাশি গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সংগৃহীত
২রা ডিসেম্বর ২০২২