Type Here to Get Search Results !

আরও ২০০ জন ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ করা হবে শীঘ্রই : মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী

নিজস্ব প্রতিনিধি,আগরতলা,আরশিকথাঃ


পূর্ত দপ্তরের অধীনে ১০০ জন গ্রুপ-এ জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার এবং ১০০ জন গ্রুপ-বি জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারের পদ পূরণ করা হবে। সিভিল, মেকানিক্যাল এবং ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের জন্য এই পদ পূরণ করা হবে। শুক্রবার সচিবালয়ে প্রেস কনফারেন্স হলে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি জানান, কিছুদিন পূর্বেও মন্ত্রিসভার বৈঠকে ১০০ জন গ্রুপ-এ জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার এবং ১০০ জন গ্রুপ-বি জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারের পদ পূরণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সে পদগুলির সঙ্গেই নতুন এই ২০০ জন জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারের পদ সংযোজন করে টিপিএসসি'র মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। তিনি আরও জানান, অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের অধীনে কিছুদিন পূর্বে ফায়ারম্যান এবং ড্রাইভার পদের জন্য শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার জন্য জেআরবিটি'র মতো ৪ সদস্যের একটি বোর্ড গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মন্ত্রিসভার বৈঠকে। তথ্যমন্ত্রী জানান, মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাজ্যে টেকনো ইন্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয় চালু করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপ পরিচালিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যের ছেলেমেয়েরা বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, নার্সিং, সাংবাদিকতা, কৃষি, আয়ুষ, যোগা, বৃত্তিমূলক শিক্ষা ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে উচ্চশিক্ষা নেওয়ার সুযোগ পাবে। টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের সাথে এ বিষয়ে শীঘ্রই রাজ্য সরকারের মৌ স্বাক্ষরিত হবে বলে তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী জানান।

তথ্যমন্ত্রী জানান, মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাজ্য সরকারের গ্রুপ-এ এবং গ্রুপ-বি কর্মচারিদের বহিরাজ্যে চিকিৎসার ক্ষেত্রে রেফারের বাধ্যবাধকতা না রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে এখন থেকে গ্রুপ-এ এবং গ্রুপ-বি কর্মচারিরা রেফার ছাড়াই বহির্রাজ্যে গিয়ে রাজ্য সরকারের অনুমোদিত হাসপাতালে চিকিৎসা করে সঠিক বিল জমা দিলে মেডিক্যাল রিএমবার্সমেন্ট পাওয়ার সুযোগ পাবেন। এছাড়াও সরকারি কাজে গিয়ে কোন গ্রুপ-এ এবং গ্রুপ-বি কর্মচারি অসুস্থতা বোধ করলে রাজ্য সরকারের অনুমোদিত হাসপাতালে চিকিৎসা করলে তার ক্ষেত্রেও একই সুযোগ থাকবে। তিনি জানান, গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি কর্মচারিদের জন্য শুধুমাত্র ক্যান্সার এবং হৃদরোগ সংক্রান্ত চিকিৎসার ক্ষেত্রে এই সুযোগ প্রযোজ্য হবে। এছাড়াও মন্ত্রিসভার বৈঠকে অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারিদের ৫ বছরে মেডিক্যাল রিএমবার্সমেন্ট ১৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলনে জানান। তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী মন্ত্রিসভার বৈঠকের আরও কিছু সিদ্ধান্তের কথা জানাতে গিয়ে বলেন, রাজ্যের কৃষকদের কাছ থেকে চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ৩৫ হাজার মেট্রিকটন ধান ক্রয় করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে। প্রতি কেজি ২০ টাকা ৪০ পয়সা দরে এই ধান কেনার ফলে রাজ্য সরকারের বায় হবে ৮৭ কোটি ৩ লক্ষ টাকা। তিনি জানান, রাজ্যে নতুন সরকার আসার পর ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে ১৭ টাকা ৫০ পয়সা ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করা শুরু করে। বর্তমানে এই মূল্য করা হয়েছে ২০ টাকা ৪০ পয়সা। এখন পর্যন্ত কৃষকদের কাছ থেকে মোট ১ লক্ষ ৩১ হাজার মেট্রিকটন ধান ক্রয় করা হয়েছে। তাতে মোট ব্যয় হয়েছে ২৪৩ কোটি ৯৯ লক্ষ টাকা।


আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ


ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ

২রা ডিসেম্বর ২০২২
 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.