আধ্যাত্মিকতার মাধ্যমেই মানব সেবার ধর্ম সম্পাদন করা সম্ভব। একটা সময় ছিল যখন আমরা আমাদের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, পরম্পরা এগুলি ভুলতে যাচ্ছিলাম। বর্তমান রাজ্য সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকারের সময় এগুলি পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। মানুষ তার নিজ ধর্মের মাধ্যমে এসব উপলব্ধি করতে পারছেন।
বুধবার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে বিশ্ব বৈষ্ণব সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা একথা বলেন। তিনি বলেন, বিগত দিনে এমন একটা অবস্থা ছিল যখন নাস্তিকরাই প্রাধান্য পেত। যার নেতিবাচক প্রভাব আমাদের সন্তানদের মধ্যে পড়েছে। কিন্তু এখন সেই অবস্থার উন্নতি হয়েছে। বর্তমান রাজ্য বা দেশের সরকার মানব প্রেমী ও ধর্মপ্রাণ। সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মানুষ মূলত সবাই ধর্মপ্রাণ। ঈশ্বরের সান্নিধ্যে আমাদের মনে ও প্রাণে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী জাগ্রত হয়। এতে নিজের পরিবারের পাশাপাশি সমাজের উপরও ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে। তিনি আরও বলেন, ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস থাকা দরকার। তিনি বলেন, চলার পথে অনেক সময় পথের বিচ্যুতি ঘটে। কিন্তু ধর্মপ্রাণ এবং সত্যিকার অর্থে ভগবান প্রেমী হলে মানুষ নিজেকে আবার সঠিক পথে নিয়ে আসতে পারে। সাধু সন্তরা সমাজের জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছেন। সমাজের প্রতিটি মানুষের প্রতি তাদের দায়দায়িত্ব অনেক। তারা ঈশ্বর এবং মানুষের মধ্যে সেতু বন্ধের কাজ করেন। সমাজের প্রতিটি মানুষের উচিত তাদের স্মরণাগত হয়ে মানুষের কাজ করা। বিশ্ব বৈষ্ণব সম্মেলন উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রী প্রভুপদের একটি স্মরণিকার আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করেন। সম্মেলনে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ভক্তি সুন্দর স্বামী মহারাজ, বিষ্ণু মহারাজ, আচার্য শ্রীচৈতন্য গৌড়িয় মঠ প্রমুখ।আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সংগৃহীত
১লা ডিসেম্বর ২০২২