Type Here to Get Search Results !

অযত্নে মলিন কচুয়ার জমিদার রায় বাহাদুরের বাড়ি, সঠিক সংরক্ষণে হতে পারে দর্শনীয় স্থানঃ বাংলাদেশ

উজ্জ্বল কুমার দাস,বাগেরহাট, আরশিকথাঃ


জমিদার রায় বাহাদুর মহাদেব ঘোষ যে নামটি সম্পর্কে অনেকেরই অজানা।সম্ভ্রান্ত পরিবারে বেড়ে ওঠা এ প্রতাপশালী  উচ্চ শিক্ষিত জমিদার ছিলেন ভয়ংকর অহংকারী ও অত্যাচারি।তার বাড়ির আসপাশ থেকে নিন্ম বর্নের মানুষের চলাচল ছিল নিষিদ্ধ।নিরাপত্তার জন্য পুরু প্রাচীরে ঘেরাছিল ভবনটি।এক সময় চাকচিক্য আর জৌলুসে পুরো মহল ছিল মুখরিত।বর্তমান প্রজন্মের কাছে যা কিনা গল্পের মত মনে হবে কিন্তু ব্রিটিশ শাসনামলে এই জমিদার বাড়িটি ছিল এমনি।

এতক্ষণ যার কথা বলা হলো এটি মুলত সেই জমিদার রায় বাহাদুর মহাদেব ঘোষের বাড়ির বর্ননা।বাড়িটির অবস্থান বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার রাড়িপাড়া ইউনিয়নের গোয়ালমাঠ নামক স্থানে।যেখানে বর্তমানে কৃষি প্রযুক্তি কলেজের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

লোকমুখে জানাযায়,এই জমিদার ছিলেন প্রচন্ড ইসলাম বিরোধী একজন মানুষ। শুধু তাই নয় তিনি গরীব কৃষকদের চড়ামূল্যে জমি ইজারা দিতেন।কৃষকরা খাজনা দিতে ব্যর্থ হলে সর্বশান্ত করা হতো তাদের।যতদুর জানাযায় ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের সময় রাতের আঁধারে সপরিবারে দেশান্তর হন তিনি।এরপর আর তদের কোন উত্তর শরিক বাংলাদেশে ফিরে আসেনি।তখন থেকেই এই স্থানটি অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে থাকে।আর বৃটিশ আমলে নির্মিত এ ভবনটির বয়স দেড়শো বছরেরও বেশি বলে ধারনা করা হয়।বয়সের ভারে ভবনটি এখন জরাজীর্ণ অবস্থায় পরে আছে।এর শৈল্পিক কারুকাজ আজো মানুষের মন কাড়ে।

বর্তমানে এই জমিদার বাড়িতে এমপিওভুক্ত  মাজেদা বেগম কৃষি প্রযুক্তি কলেজের কার্যক্রম চলছে।বর্তমানে দেখভাল আর রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এ প্রকৃত সৌন্দর্য বিলীন হওয়ার পথে।যদিও বেশ কিছুদিন এই ভবনটি কলেজের একাডেমিক ভবন হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল কিন্তু বর্তমানে অরক্ষিত অবস্থায় পরে থাকায় ক্রমশই এর সৌন্দর্য বিলীন হচ্ছে।দ্রুত সময়ের মধ্যে যদি এটা সংস্কার না করে ফেলে রাখা হয় তবে হারিয়ে যাবে শত বছরের ইতিহাস ঐতিহ্যের সাক্ষী এই দৃষ্টি নন্দন ভবনটিও।ভবন টি চারি পাশে যে পুরু ইটের গাঁথুনি দিয়ে তৈরি দেওয়াল ছিল তার অস্তিত্ব এখনো পর্যন্ত লক্ষ্য করা গেলেও দ্রুতই এর অস্তিত্ব বিলিন হয়ে যাবে।

এমন পরিস্থিতিতে এটি সংরক্ষণ করে এর প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরা গেলে পর্যটকদের জন্য এটি হবে আকর্ষণের অন্যতম স্থান। সেই সাথে মাজেদা বেগম কৃষি প্রযুক্তি কলেজের সৌন্দর্য ও এর পরিচিতি বাড়বে বহু গুন।তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এদিকে দৃষ্টি দেওয়া এখন জরুরি বলে মনে করে স্থানীয় সচেতন মহল সহ অনেকে।


আরশিকথা অতিথি কলাম

৩০ এপ্রিল ২০২৩



 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.