আরশি কথা

আরশি কথা

No results found
    Breaking News

    বাংলাদেশ-ইন্দোনেশিয়া অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি খুব শিগগিরইঃ বাণিজ্যমন্ত্রী, বাংলাদেশ

    আরশি কথা

    আবু আলী, ঢাকা, আরশিকথা ॥

    বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়া মধ্যকার অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি খুব শিগগিরই সম্পাদিত হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। রবিবার মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু হারতান্তো সুবোলোর সৌজন্য সাক্ষাতকালে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ইন্দোনেশিয়ার রাষ্টদূতও চুক্তি সম্পাদনের লক্ষ্যে অগ্রগতি সাধনের বিষয়ে একমত পোষণ করেন। বাণিজ্যমন্ত্রী জানান ইন্দোনেশিয়ার সাথে দ্বিপক্ষীয় অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এই চুক্তিকে বাস্তবে রুপ দিতে দুই দেশ ‘ট্রেড নেগোশিয়েন্স কমিটি’ গঠন করেছে এবং এখন পর্যন্ত তিনটি সভা করেছে এবং আগামী মাসে ইন্দোনেশিয়ায় চতুর্থ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এই রাউন্ডে আলোচনা চুড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরপরই দুই দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনার উপর জোর দেন। দুই দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের দ্বারা সম্ভাবনাময় খাতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ আরও সম্প্রসারণ এবং ত্বরান্বিত করার উপর গুরুত্বারোপ করে টিপু মুনশি দুইদেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মধ্যে আরও ঘন ঘন যোগাযোগের পরামর্শ দেন যাতে করে তারা সম্ভাবনাময় খাত চিহ্নিত করা এবং বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করা যেতে পারে। বিশেষ করে আরএমজি, ফার্মাসিউটিক্যালস, চামড়াজাত পণ্যসহ ছাড়াও অন্যান্য বাংলাদেশি পণ্যের প্রবেশের অনুমতি দিয়ে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার আহবান জানান তিনি। এপ্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৭৮.৫৭ মিলিয়ন ইউএস ডলারের পণ্য ইন্দোনেশিয়ায় রপ্তানি করে। অন্যদিকে দেশটি থেকে আমদানি করেছে প্রায় তিন হাজার ৮২ মিলিয়ন ইউএস ডলার সমমূল্যের পণ্য। এই বিশাল বাণিজ্য ঘাটতিকে ভারসাম্য পর্যায়ে আনতে আরো বেশি বাংলাদেশি পণ্য ইন্দোনেশিয়ার বাজারে প্রবেশের সুযোগ করার ব্যবস্থা গ্রহণে দেশটির প্রতি আহবান জানান। ইন্দোনেশিয়ায় বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা সহজীকরণ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, উভয়ের দেশের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ, বন্ধুপ্রতীম এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ। দুই দেশই পর্যটন খাতে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণের মাধ্যমে উভয় দেশের ভ্রমনপিপাসু মানুষ ভ্রমন করার সুযোগ পাবে এবং অর্থনীতিতে অবদান রাখবে। বাণিজ্যমন্ত্রী দুই দেশের ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর মধ্য সম্পর্ক উন্নয়ন এবং বাণিজ্য প্রসারে এপেক্স চেম্বারের মধ্যে এমওইউ স্বাক্ষর আহবান জানালে ইন্দোনিশিয়ার রাষ্ট্রদূত সম্মত হন এবং সহযোগিতার ব্যাপারে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এসময় রাষ্ট্রদূত হেরু হারতান্তো সুবোলোর বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে। স্বল্পোন্নত দেশে থেকে উন্নয়নশীল দেশে রুপান্তরিত হয়েছ। এবাংলাদেশে বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে তিনি জানান বাংলাদেশে পামওয়েল রিফাইনারি স্টেশন স্থাপনের বিষয়ে ইন্দোনেশিয়ার ব্যবসায়ীগণ ইচ্ছুক। এছাড়া, সাক্ষাৎকালে তারা ইন্দোনেশিয়া-বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, অর্থনীতি-কূটনীতি, বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম, বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি, কোভিড পরবর্তী এবং ইউক্রেন-রাশিয়া সংকটের মধ্যে বাংলাদেশের স্থিতিশীল অর্থনৈতিক অবস্থা, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।


    আরশিকথা বাংলাদেশ সংবাদ

    ২রা এপ্রিল, ২০২৩
     

    3/related/default