নিজেই নিজের বিবাহ বন্ধ করে ব্যতিক্রমী উদাহরণ তৈরি করলেন বিলোনিয়া মহকুমার আমজাদ নগর উচ্চ বিদ্যালয়ের সংখ্যালঘু পরিবারের দশম শ্রেণীর ছাত্রী জ্যোৎস্না আক্তার। এমনিতেই রাজ্যের মধ্যে বাল্যবিবাহে দক্ষিণ জেলা এগিয়ে রয়েছে। তাই প্রশাসন থেকে শুরু করে শিক্ষা দপ্তর এ বিষয়ে তৎপর হয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করছেন। যার একটি হল প্রতিটি বিদ্যালয় বালিকাদের দিয়ে বালিকা মঞ্চ গঠন করা। আর জ্যোৎস্না আক্তার হলেন আমজাদ নগর বিদ্যালয়ের বালিকা মঞ্চের কনভেনার। জ্যোৎস্না আক্তার আরো পড়াশোনা করতে চায় এবং নিজের পায়ে নিজে দাঁড়াতে চায় তাই মা-বাবার ইচ্ছাকে নস্যাৎ করে দিয়ে বালিকা মঞ্চ এবং প্রশাসনের সহায়তায় নিজের বিবাহ বন্ধ করেন। আর তারপর থেকে সকলের চোখে জোৎনা হয়ে ওঠেন বীরাঙ্গনা। এই খবর প্রকাশিত হতেই জ্যোৎস্না আক্তারের বাড়িতে যান রাজ্য সরকারের সমবায়, জনজাতি এবং সংখ্যালঘু উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া। সাথে ছিলেন বিধায়িকা স্বপ্না মজুমদার, বিজেপি প্রদেশ আই টি ইনচার্জ চন্দন দেবনাথ, ৩৭ ঋষ্যমুখ বিধানসভা কেন্দ্রের বিজিত প্রার্থী তথা বিজেপি দক্ষিণ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক দ্বীপায়ন চৌধুরী, এলাকার প্রধান উপপ্রধান সহ অন্যান্যরা।
মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া এলাকাবাসীদের সামনে বাল্যবিবাহ নিয়ে এবং জ্যোৎস্না আক্তার যাতে এই বিষয়টি নিয়ে সমাজের কাছে অবহেলিত না হয় সেদিকে আলোচনার পাশাপাশি এলাকাবাসীকে সতর্ক করে দেন। পাশাপাশি আগামী দিনে যাতে কেউ বাল্যবিবাহ না দেন সেই অনুরোধ রাখেন। মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া জ্যোৎস্না আক্তারের উচ্চ শিক্ষার বিষয়ে সরকারি ভাবে সমস্ত ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। পাশাপাশি দরিদ্র জ্যোৎস্না আক্তারের পরিবারকেও বিভিন্ন রকমের সরকারি সহযোগিতার আশ্বাস দেন।মন্ত্রী আরো বলেন সরকার এবং দল সবসময় এই পরিবারের পাশে থাকবেন। মন্ত্রীর আশ্বাস পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই খুশি জ্যোৎস্নার পরিবারসহ এলাকাবাসী। মন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে জ্যোৎস্না তার কঠিন পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেন পাশাপাশি কেউ যাতে ১৮ বছরের নিচে কাউকে বিয়ে না দেন তার আবেদন ও রাখেন।
আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
তথ্য ও ছবিঃ সুমিত কুমার সিংহ
২২ মে, ২০২৩