'যোগ সারায় রোগ'। বহু প্রাচীন এই প্রবাদটি আক্ষরিক অর্থেই সত্যি। সুস্বাস্থ্যের চাবিকাঠি হিসেবে সেই আদিকাল থেকে যোগের গুরুত্ব অপরিসীম। আসলে যোগ হল ভারতীয় ঐতিহ্যের এক বিশেষ ধরনের শারীরিক, মানসিক এবং আধ্যাত্মিক অনুশীলন প্রথা। যোগচর্চার মাধ্যমে আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে। এমন অনেক পুরনো রোগ রয়েছে যা একমাত্র যোগ-এর মাধ্যমেই নিরাময় সম্ভব। কারণ যোগ হল মানুষ ও প্রকৃতির মধ্যে একটি যোগসূত্র। মনের প্রশান্তি ও উন্নত স্বাস্থ্যের জন্য যোগ খুবই অপরিহার্য। আর এই চরম সত্যিকে উপলব্ধি করেই একুশে জুন সারা বিশ্বব্যাপী যোগা দিবস হিসেবে পালিত হয়। দিনটিকে বিশেষ উপযোগী করে তুলতে সমগ্র ভারতবর্ষ তথা বিভিন্ন দেশে যোগ শিবির এর আয়োজন করা হয়।
শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স - এমন এক প্রতিষ্ঠান যে সমাজের কাছে দায়বদ্ধ। তাই সমাজের কাছে অঙ্গীকার হিসেবে ও নাগরিকদের সুস্থ জীবনযাপনে উৎসাহ দিতে এই সংস্থা ২১ জুন বিশ্ব যোগ দিবস পালন করে। এই উপলক্ষে আগরতলায় যোগ ও ধ্যানের ওপর কর্মশালার আয়োজন করা হয়। যেখানে যোগগুরু হিসেবে সকলকে দিশা দেখান যোগী বিশ্ব।
এদিন সকাল সাড়ে ৬ টায় শ্যামলিমা অ্যাপার্টমেন্ট, বিকেল ৪ টায় এনআরসিসি কমপ্লেক্স ও সন্ধে ৭ টায় আগরতলার রবীন্দ্রপল্লি কোয়ার্টার কমপ্লেক্সে সব মিলিয়ে প্রায় ৮০০ জন আবাসিকদের নিয়ে এই কর্মশালার আসর বসে।
শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স- এর ডিরেক্টর রূপক সাহা জানান, ' এই কর্মশালাটি কোনো একদিনের অনুষ্ঠান নয়। এটি আসলে একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। এই কর্মশালায় এমন অনেকে যোগ দিয়েছেন যাঁরা শারীরিক এবং মানসিকভাবে খুবই অসুস্থ। কেউ কেউ হয়তো প্রচন্ড ব্যথা বেদনায় ভুগছেন। তাদের জন্য কর্মশালার পর থেরাপির আয়োজন করা হয়। এই সমস্ত রোগী ও যোগগুরু যোগী বিশ্বকে নিয়ে একটি গ্রুপ তৈরি করা হয়। যেখানে যোগ গুরু ওই গ্রুপের সদস্যদের প্রতিদিন কী যোগাভ্যাস করতে হবে, কীভাবে নিয়ম মেনে চলতে হবে তার নিদান দেবেন, সেই সঙ্গে আলোচনা করবেন। আসলে যোগ শুধু দেহের স্বাস্থ্য রক্ষাই করে না, মন মস্তিষ্ক এবং আত্মারও ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে। এ কারণে শারীরিক সমস্যা ছাড়াও যোগের মাধ্যমে মানসিক অসুস্থতাও কাটিয়ে ওঠা যায়।'
সকল বয়সী উৎসাহিদের নিয়ে আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে শ্যাম সুন্দর কোং জুয়েলার্স-এর এই প্রয়াস আনন্দদায়ক পরিবেশে সার্থক ভাবে উদযাপিত হয় ।
আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
২২শে জুন, ২০২৩