আগামী বছর পবিত্র দুই মসজিদে আগত হজ ও ওমরাহযাত্রীসহ মোট ১০০ কোটি দর্শনার্থীকে সেবা দেয়ার উচ্চাভিলাসী এক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সৌদি আরব। সেই লক্ষ্যে প্রস্তুতিও শুরু করেছে দেশটির সরকার।
এরই মধ্যে কৌশলগত এই পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন পবিত্র দুই মসজিদ পরিচালনা বিষয়ক কমিটির সভাপতি এবং মসজিদুল হারামের খতিব ও ইমাম শায়খ ড. আবদুর রহমান বিন আবদুল আজিজ আল-সুদাইস।
সম্প্রতি 'ভিশন-২০৩০' ঘোষণা করেছে সৌদি আরব। এর অধীনে নিজেদের অর্থনীতিকে বহুমুখী করতে চাচ্ছে দেশটি। তারই অংশ হিসেবে সৌদি কর্তৃপক্ষ গত কয়েক বছর ধরে পর্যটনশিল্পের ওপর আলোকপাত করেছে এবং সফলও হয়েছে। বর্তমানে সৌদির জিডিপি’র প্রায় সাড়ে ৯ শতাংশই আসে পর্যটন খাত থেকে।করোনা মহামারির কারণে বিশ্বের অন্য সব দেশের মতোই সৌদি আরবেও পর্যটন শূন্যে নেমে গিয়েছিল। তবে মহামারি শেষে তা আবার চাঙ্গা হতে শুরু করেছে। বর্তমানে পর্যটনের দিক দিয়ে আরব দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে সৌদি। সৌদির সরকারি তথ্যমতে, গত বছর (২০২২) দেশি ও বিদেশি মিলে মোট পর্যটক সংখ্যা ছিল ৯ কোটি ৩৫ লাখ।হজ ও ওমরাহযাত্রীর সংখ্যাও প্রতিবছর বাড়ছে। সৌদি পরিসংখ্যান কর্তৃপক্ষ দ্য জেনারেল অথোরিটি ফর স্ট্যাটিস্টিকসের (জিএএসটিএটি) তথ্যমতে, গত বছর (২০২২) মোট ২ কোটি ৪৭ লাখ মানুষ ওমরাহ করেছেন।আর দেশি ও বিদেশি মোট হজযাত্রীর সংখ্যা ছিল ৯ লাখ ২৬ হাজার। চলতি বছর (২০২৩) হজ সবে শেষ হলো। এবার দেশি ও বিদেশি মিলে ২৫ লক্ষাধিক মানুষ হজে অংশ নিয়েছিলেন।
আগামী বছর তথা ১৪৪৫ হিজরি ওমরাহ ও হজযাত্রীর পাশাপাশি পর্যটক সংখ্যা নিশ্চিতভাবেই বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। আর এ বিশাল সংখ্যক দর্শনার্থীর নিরাপত্তা ও অন্যান্য সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে তা মোকাবিলার ব্যাপক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ আসন্ন হিজরি বছরের শুরুতেই আনুষ্ঠানিকভাবে এই পরিকল্পনা ঘোষণা করবেন পবিত্র দুই মসজিদ পরিচালনা বিষয়ক কমিটির সভাপতি আল সুদাইস।
আল সুদাইসের দায়িত্ব নেয়ার পর এটাই সর্ববৃহৎ ও সর্বাধিক বিস্তৃত কোনো পরিকল্পনা। এ পরিকল্পনার মধ্যে থাকছে উন্নত প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা ও আন্তর্জাতিক মানের প্রশাসন ব্যবস্থার মাধ্যমে উন্নত সেবা নিশ্চিত করা।
আরশিকথা দেশ-বিদেশ
তথ্য ও ছবিঃ সৌজন্যে ইন্টারনেট
১৮ জুলাই ২০২৩