২১ আগস্টের সেই ভয়াবহ ঘটনার পর ১৯ বছর ধরে গ্রেনেডের স্প্লিন্টার বহন করে চলেছেন আওয়ামী লীগের শতাধিক নেতাকর্মী। হাত পা হারানোর পাশাপাশি অনেকে হারিয়েছেন মানসিক ভারসাম্য। ওই ঘটনার বিচার হলেও রায় কার্যকর না হওয়ায় ক্ষোভ রয়েছে নিহতদের স্বজন ও আহতদের মধ্যে।
তৎকালীন বিরোধীদল আওয়ামী লীগ ২০০৪ সালের এই দিনে শান্তি সমাবেশ করে। বিকেল ৫টা ২২ মিনিটে হঠাৎ বিকট শব্দে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় ট্রাকের ওপর স্থাপিত আওয়ামী লীগের অস্থায়ী মঞ্চ।
কিছু বুঝে ওঠার আগেই ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে নেতাকর্মীরা দেখতে পান রক্তাক্ত দেহ; ক্ষতবিক্ষত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। মানব ইতিহাসের ঘৃণিত সেই ২১ আগস্টের ভয়াবহ ঘটনার স্মৃতিচারণ করেন সেদিনের আহতরা।
এখনও স্প্লিন্টারের ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য লিখন। তিনি নিজে রক্তাক্ত হয়েও সেদিন নিজ হাতে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকে উদ্ধার করে নিয়েছিলেন হাসপাতালে। মাঝরাতে এখনও ঘুম ভাঙে গ্রেনেড আতঙ্কে, বলছিলেন সেদিনের ছাত্রলীগকর্মী।
তৎকালীন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইভি রহমানের রক্তাক্ত দেহ নিয়ে চিৎকার আর চিৎকার করছিলেন আবুল কাশেম। চারদিকে শুধু দিকবিদিক ছোটাছুটি আর মানবতার আর্তনাদে প্রকম্পিত ছিল ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ।
সোমবার (২১ আগস্ট) সকালে নিহতদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সেদিনের আহতরা। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচারের রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানান তারা।
২১ আগস্ট নিহতদের স্মরণে সংক্ষিপ্ত সভায় বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বলেন, বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করতেই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান ও তার দোসররা। বিএনপি এখনও দেশের জনগণের বিরুদ্ধে লড়াই করছে বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
আরশিকথা বাংলাদেশ সংবাদ
ছবি ও তথ্যঃ সৌজন্যে ইন্টারনেট
২১ আগস্ট ২০২৩