উপনির্বাচনে দুই আসনে শেষ হলো সরব প্রচার। রবিবার বিকাল ৪ টায় সরব প্রচার শেষ হয়। মঙ্গলবার সকাল সাতটা থেকে বক্সনগর ও ধনপুর কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হবে। ভোটপর্ব অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে প্রশাসনের তরফে সব ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়ন করা হয়েছে। সবক'টি পোলিং বুথে থাকছে ওয়েব কাস্টিং এর ব্যবস্থা। রাজ্য নির্বাচন কমিশন নিরাপত্তার কথা ভেবে সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বক্সনগর বিধানসভা কেন্দ্রে মোট ভোট কেন্দ্র রয়েছে ৫১ টি। ধনপুরে ভোটকেন্দ্র ৫৯টি। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রেই নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা। বক্সনগরে অতি স্পর্শকাতর ভোটকেন্দ্র দুইটি। ১৫টি স্পর্শকাতর। সাধারণ ভোটকেন্দ্র ৩৪টি। ধনপুর কেন্দ্রে স্পর্শকাতর ১৯টি। সাধারণ ভোটকেন্দ্র ৪০টি। এখানে অতি স্পর্শকাতর ভোট কেন্দ্র নেই।দুই কেন্দ্রেই দুইটি করে মডেল ভোটকেন্দ্র এবং দুইটি করে মহিলা দ্বারা পরিচালিত ভোটকেন্দ্র থাকবে। মঙ্গলবার সকাল সাতটা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। ৮ সেপ্টেম্বর ভোট গণনা করা হবে। রবিবার বিকেল চারটায় সরব প্রচার শেষ হয়। শাসক দল বিজেপি দুইটি কেন্দ্রেই ব্যাপক প্রচার করেছে। শেষ মুহূর্তে প্রচারে নামেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।দুইটি কেন্দ্রেই বিজেপি ও সিপিএমের মধ্যে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। তিপ্রা মথা নেতৃত্ব জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারই পারে তাদের দাবি পূরণ করতে। তাই যে দলকে ভোট দিলে তাদের দাবি পূরণ হবে সেই দলকে যেন মথার সমর্থকরা ভোট দেন। তাদের এই আহবানে বিজেপি লাভবান হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। উল্টোদিকে কংগ্রেসকে সরাসরি কিংবা পরোক্ষভাবে সিপিএমকে ভোট দিতে বলতে শোনা যায়নি। বিল্লাল মিয়া বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় কংগ্রেস প্রায় শূন্য হয়ে গিয়েছে বক্সনগরে। তাই উপনির্বাচনে শাসকদল জয়ের ব্যবধান কত বাড়াতে পারে সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে উঠেছে।
আরশিকথা ত্রিপুরা সংবাদ
ছবিঃ সৌজন্যে ইন্টারনেট
৩রা সেপ্টেম্বর ২০২৩